২০১৬ সালের মর্যাদা সাত বছরের মধ্যেই হারাতে হলো তৃণমূল কংগ্রেসকে! সংগৃহীত ছবি
জাতীয় দলের তকমা হারাল তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এই কথা ঘোষণা করা হল। তবে শুধু তৃণমূল কংগ্রেসই নয়, জাতীয় দলের তকমা গেল শরদ পওয়ারের এনসিপি এবং সিপিআইএম দলেরও। আর নতুন করে জাতীয় দলের তকমা পেল অরবিন্দ কেজরীবালের আম আদমি পার্টি। নিয়ম অনুযায়ী, জাতীয় দল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য কোনও রাজনৈতিক দলকে চার বা তার বেশি রাজ্যে রাজ্যের দল হিসেবে স্বীকৃতি পেতে হবে। অথবা লোকসভা নির্বাচনে অন্তত তিনটি রাজ্য থেকে ২ শতাংশ আসন পেতে হয়। অর্থাৎ, এদিনের পর যদি আসন্ন কর্নাটক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত নেয় তৃমমূল কংগ্রেস, তাহলে সেই রাজ্যে তৃণমূল প্রার্থীদের দলীয় প্রতীক, জোড়া ফুল ছাড়াই লড়তে হবে।
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, অরুণাচল ও মণিপুর প্রদেশে রাজ্য পর্যায়ের দল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসকে জাতীয় দলের মর্যাদা দিয়েছিল কমিশন। সে সময় লোকসভা ভোটে চারটি রাজ্য থেকে ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের ‘রাজ্য দল’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। সাত বছরের মাথাতেই সেই মর্যাদা হারাল দলটি।
জাতীয় দলের মর্যাদা হারানোয় বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা ছাঁটাই হতে পারে তৃণমূলের। প্রথমত, কোনো জাতীয় দলের চিহ্নকে দেশের অন্য কোনো রাজ্যে অন্য কোনো দল ব্যবহার করতে পারবে না। পশ্চিমবঙ্গ এবং মেঘালয় বাদে মমতার জোড়াফুল প্রতীকের সেই ‘রক্ষাকবচ’ আর থাকবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। দ্বিতীয়ত, দলীয় দপ্তর তৈরি করার জন্য সরকারের কাছ থেকে জমি বা বাড়ি পায় জাতীয় দলগুলো, অন্য দল তা পায় না। তৃতীয়ত, নির্বাচনের সময় জাতীয় দল সর্বাধিক ৪০ জন ‘তারকা প্রচারক’ ব্যবহার করতে পারে, যেখানে অন্য দলের ক্ষেত্রে সেই সীমা ২০।
উল্লেখ্য, ভারতের বর্তমান জাতীয় দলগুলো হলো- ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি), ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস, কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া-মার্কসিস্ট (সিপিএম), বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি), ন্যাশনালিস্ট পিপলস পার্টি (এনপিপি) এবং আম আদমি পার্টি (আপ)।