অভিষেকের সভার আগে তৃণমূলে ইস্তফা
তৃণমূল ছেড়ে দিতে গণইস্তফার জোয়ার শুরু কোচবিহারে। তাৎপর্যপূর্ণ, দলীয় সাংসদ তথা আঞ্চলিক দল তৃ়ণমূলের দাবি করা ‘সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা সফরের মাঝেই শুরু হল শাসক দলে গণইস্তফা। পঞ্চায়েত ভোট সামনে রেখে শুরু হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচি। প্রার্থী বাছতে যে গণভোট করতে উদ্যোগী সেই ভোটবাক্স লুঠ হয়েছে গতকাল। আর এদিন শুরু ভাঙন।
কোচবিহার জেলা তৃণমূলে দল বেঁধে ইস্তফার কথা ঘোষণা করলেন একাধিক নেতারা। ওই নেতাদের অভিযোগ, দলের মধ্যে তাঁদের কোনও দাবি মানা হয়নি। উচ্চ নেতৃত্বের কাছে তাঁরা অবহেলিত। বুধবার তুফানগঞ্জে সভা রয়েছে অভিষেক বন্দ্যপাধ্যায়ের। তার আগেই শুরু ইস্তফার হিড়িক।
‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ জনসংযোগ কর্মসূচির অংশ হিসাবে তুফানগঞ্জের চিলাখানা এবং ক্রীড়া সংস্থার মাঠে সভা রয়েছে অভিষেকের। সেখানেই রাত্রিযাপন করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তার আগে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে ৩২ জন তৃণমূল নেতা দল ছাড়ছেন বলে জানালেন। মঙ্গলবার বিকেলে তুফানগঞ্জের ১ নম্বর ব্লকের ধলপল ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই তৃণমূল নেতারা জানান, তাঁরা অনেক দিন থেকে দল করছেন। কিন্তু দলে আর পুরনো নেতা-কর্মীরা গুরুত্ব পাচ্ছেন না। বিভিন্ন অসন্তোষের কারণে ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। এর মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় বুথ সভাপতি, অঞ্চল সম্পাদক এবং ব্লক কমিটির সদস্যেরা। ইস্তফাপত্র হাতে নিয়ে তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সদস্য নিজামউদ্দিন মণ্ডল বলেন,‘‘দলের সাফল্যের সময় যেমন কোনও কাজ পাইনি, ব্যর্থতারও কোনও দায় নেব না। আমরা আলোচনা করে মোট ৩২ জন ইস্তফা দিয়েছি।’’
অভিষেকের কোচবিহার সফরের মধ্যে এই ইস্তফা ঘিরে শোরগোল শুরু হয়েছে। এ নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন স্থানীয় বিজেপি মণ্ডল সভাপতি যুগল কিশোর দাস। তাঁর কথায়, ‘‘তৃণমূল জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ব্যালট বাক্স নিয়ে মারামারি, ইস্তফা তারই প্রমাণ।’’