‘ইন্ডিয়া’ দেশে সরকার গঠন করলে যোগ দেবে না তৃণমূল!
লোকসভা ভোটের পরে দেশে বিজেপি-বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার সরকার গঠন হলে, তাতে যোগ দেবে না তৃণমূল। এমনই ইঙ্গিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বুধবার হুগলির জেলা সদর চুঁচুড়ায় তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে সভা করেন তিনি। মমতা বলেন, “ইন্ডিয়াকে নেতৃত্ব দিয়ে, বাইরে থেকে সব রকম সাহায্য করে আমরা সরকার গঠন করে দেব।
মমতার বলা ‘বাইরে থেকে সমর্থন’ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। অতীতে বাংলার প্রাক্তন শাসকদল সিপিএম-সহ বিভিন্ন বামদল মন্ত্রিসভায় যোগ না-দিয়ে বাইরে থেকে কেন্দ্রের প্রথম ইউপিএ সরকারকে (মনমোহন সিংহের নেতৃত্বাধীন) সমর্থন করেছিল। অন্য দিকে মমতা এবং তাঁর দল তৃণমূল অতীতে একাধিক বার কেন্দ্রীয় সরকারে সরাসরি শামিল হয়েছে। ‘বাইরে থেকে সমর্থন’ করেন একবারই। ১৯৯৮ সালে তৈরি হওয়া ১৩ মাসের অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারে যোগ দেননি মমতা। সমর্থন দেন বাইরে থেকে। পরবর্তীতে বাজপেয়ী এবং মনমোহনের মন্ত্রিসভায় নানা সময়ে থেকেছেন মমতা-সহ তৃণমূলের নেতানেত্রীরা।
চুঁচুড়ার সভায় মমতা বুধবার বলেন, “বিজেপি অহঙ্কার করে বলেছিল, ইস্ বার চারশো পার। মানুষ বলছে, নেহি হোগা দোশো পার। এই বার হবে পগারপার।” সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার কথা বলতে গিয়ে বুধবারও বাংলার বাম-কংগ্রেসকে বেঁধেন মমতা। তৃণমূলনেত্রী বলেন, “বাংলায় সিপিএম, কংগ্রেস আমাদের সঙ্গে নেই। ওই দুটো বিজেপির সঙ্গে রয়েছে।” এর পরেই ভোট পরবর্তী দিল্লিতে কী সমীকরণ হবে, সে ব্যাপারে তৃণমূলের অবস্থান জানান নেত্রী।
২০০৪ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারের পতন নিয়েও বুধবারের সভায় মন্তব্য করেন মমতা। সেই সময়ে মমতা ছিলেন বিজেপির শরিক। তাঁর কথায়, “অটলজি শ্রদ্ধেয় মানুষ ছিলেন। সেই সময়ে আমরা বুঝতে পারিনি, সরকারটা চলে যাবে। শাইনিং ইন্ডিয়া স্লোগান দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মানুষ ভিতরে ভিতরে ঠিক করে নিয়েছিল।” ২০০৪ সালের সেই ভোটের পরই প্রথম ইউপিএ সরকার তৈরি হয়েছিল। সরকারের অন্যতম নিয়ন্ত্রক ছিল বামেরা। তবে তারা মন্ত্রিসভায় যোগ দেয়নি। বাইরে থেকে সমর্থন করেছিল।