তৃণমূলের প্রতিনিধি গ্রামে ঢুকতেই তুমুল বিক্ষোভ বাঁকুড়ায় । সংগৃহীত ছবি
দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিকে ঘিরে ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূলের তারকা নেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় । শনিবার বিকালে বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের বড়শাল এলাকায় দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন সায়ন্তিকা। কিন্তু, সেখানে যেতেই ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। এ ঘটনার খবর চাউর হতেই অস্বস্তি বেড়েছে শাসকদল তৃণমূলের।
রবিবার সংশ্লিষ্ট এলাকায় স্থানীয় চৌশাল হাই স্কুল পরিদর্শন করেন তিনি। সেখান থেকে বার হওয়ার পরেই তাঁর কাছে অভিয়োগ করেন অনেকেই। 'বিক্ষুব্ধ' তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ ছিল, দলের ব্লক সভাপতি থেকে অঞ্চল সভাপতি কেউই তাঁদের 'পাত্তা দেন না'। এমনকী, মিটিং-মিছিলেও কোন ডাক পান না। একরাশ অভিমান নিয়ে তাঁরা সায়ন্তিকাকে বলেন, "আমরা কি দলের কেউ নই!"
শনিবার যথন বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন সায়ন্তিকা তখন তাঁর সঙ্গী হিসাবে ছিলেন স্থানীয় তৃনমূলের নেতা-কর্মীরা। কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে এলাকার চৌশাল উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করে বেরিয়ে আসার সময় স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের একাংশ সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল করার পরও দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে ডাক না পাওয়ার অভিযোগ তোলেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, দলের অঞ্চল সভাপতি ও ব্লক সভাপতি দলের কোনও কর্মসূচিতে তাঁদের ডাকেন না। দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তিতে পড়ে যান সায়ন্তিকা। কোনওক্রমে বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে এলাকা ছাড়তে হয় সায়ন্তিকা সহ তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের।
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরে সুর মিলিয়েছেন গঙ্গাজলঘাটি ব্লক তৃণমূল সভাপতি নিমাই মাজি। তিনি বলেন,"সকলকে ডাকা হয়েছে। তৃণমূলের অনেক বড় সংসার। সকলকে ডাকা হয়েছে। হতে পারে কোনও ভাই খবর পায়নি। তাঁদের আবার ডেকে নিয়ে আসব। এটা কোনও সমস্যার কারণ নয়।"যদিও এই সুযোগ হাতছাড়া করতে নারাজ BJP। গেরুয়া শিবিরের স্থানীয় এক নেতা সুজিত অগস্তি বলেন, "মানুষ ওঁদের আর চাইছেন না, এই ঘটনাই তার প্রমাণ। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে BJP-কেই মানুষ বেছে নেবে।” ভোটের মাধ্যমে নিজেদের মতামত স্পষ্ট করে দেবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলার রাজনীতিতে রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য এই ঘটনায় আমল দিতে নারাজ। ‘সকলেই খুশি’, এমনটাই দাবি তাঁদের।