গরম পড়তে না পড়তেই বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে জলসঙ্কট
পুরসভা সূত্রের খবর, টালিগঞ্জ ও যাদবপুরের বিস্তীর্ণ অংশে জল সরবরাহ ব্যবস্থা গভীর নলকূপের উপরে নির্ভরশীল। প্রচণ্ড গরমে ওই গভীর নলকূপের বেশ কয়েকটি খারাপ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তি বেড়েছে। ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি তপন দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘আমার ওয়ার্ডের অরবিন্দনগর, আজাদগড়-সহ একাধিক কলোনি এলাকায় গরম পড়তেই পানীয় জলের হাহাকার শুরু হয়ে গিয়েছে। এখানে বেশ কিছু গভীর নলকূপ বিকল।’’
ভুগছে মধ্য কলকাতার বৌবাজার এলাকাও। সেখানকার পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে গত বছর পুরসভার মাসিক অধিবেশনে সরব হয়েছিলেন স্থানীয় তৃণমূল পুরপ্রতিনিধি বিশ্বরূপ দে। তাঁর অভিযোগ, ‘‘এলাকায় একটি জলের পাইপ বসানোর জন্য পুরসভার ডিজি-র (জল সরবরাহ) কাছে এক বছর ধরে দরবার করছি। কিন্তু, এখনও সেই পাইপ বসল না। গরম পড়লেই আমার ওয়ার্ডের বেশ কিছু জায়গায় জলের চাপ কমে যায়। এলাকার মানুষের কাছে আমি কী জবাব দেব?’’
এ দিকে, গরম পড়তে না পড়তেই বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে জলসঙ্কট। উত্তরের তুলনায় দক্ষিণ কলকাতায় এই সমস্যা বেশি। কলকাতা পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘গরম পড়তেই জলের চাহিদা বেড়ে যায়। উত্তরে জলসঙ্কট তেমন না থাকলেও দক্ষিণে রয়েছে। তবে, পুরসভা একাধিক বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরির কাজে হাত দিয়েছে। ওই সমস্ত প্রকল্পের কাজ শেষ হলে আগামী এক বছরের মধ্যে পানীয় জলের সমস্যা অনেকটাই কমবে।’’