জ্বালাপোড়া গরম আর তীব্র দাবদাহ
জ্বালাপোড়া গরম আর তীব্র দাবদাহ। জুন মাসের শুরু থেকেই জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে বাংলার মানুষের। তীব্র গরমে রীতিমতো নাজেহাল বঙ্গবাসী। উত্তর থেকে দক্ষিণ অসহ্য তাপপ্রবাহে পুড়ছে মানুষ। কবে হবে বৃষ্টি, তা নিয়ে স্পষ্ট আপডেট দেয়নি আবহাওয়া দফতর।তবে আগামী ৫ দিন তাপপ্রবাহ জারি থাকবে গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়েই। কম-বেশি বৃষ্টি হবে কিছু জেলায় তবে তাতে খুব একটা কমবে না তাপমাত্রা ও পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকা অস্বস্তি।বর্ষার আগমনে দেরি হচ্ছে এই বছর। আবহবিদদের মতে ভারতের মূল ভূখণ্ডে বর্ষা প্রবেশ করে ১ জুন। তবে এবার ছবিটা অন্য। একথা অনেক আগেই জানিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আইএমডি সূত্রে খবর, এবছর ১ জুনের বদলে কেরলে বর্ষা ঢুকতে পারে ৪ মে। কিন্তু কেরলেও পিছিয়ে গেল বর্ষা।
মৌসম ভবনের পূর্বাভাস জানাচ্ছে, দক্ষিণ আরব সাগর, মালদ্বীপ এবং কোমোরিন এলাকার দিকে আরও এগিয়ে এসেছে দক্ষিণ-পশ্চিমী মৌসুমী বায়ু। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এবং পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের ওপরও বিরাজ করছে মৌসুমী অক্ষরেখা। বর্তমানে মৌসুমী বায়ুর অক্ষরেখার উত্তর সীমা রয়েছে লাক্ষাদ্বীপ এবং কেরলের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে।আই এম ডি-র পূর্বাভাস জানাচ্ছে, বর্তমানে সাগরে বর্ষা এগিয়ে যাওয়ার অনুকূল পরিস্থিতি রয়েছে। এই পরিস্থিতি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তা ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে পারে। তবে সাগরে তৈরি হতে চলা নিম্নচাপের ওপর বর্ষা আগমনের বিষয়টি অনেকটাই নির্ভর করবে। এবছর বর্ষায় স্বাভাবিকের থেকে কম বৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।বাংলায় কবে ঢুকছে বর্ষা? আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে সাধারণত বর্ষা আসে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে। তবে গত দশকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেরি হয়েছে রাজ্যে বর্ষার আগমন। এদিকে এবার কেরলেও দেরিতে বর্ষা ঢুকছে। তাই পশ্চিমবঙ্গে আরও দেরিতেই বর্ষা প্রবেশ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।