ছোট বুথে কি ঠাঁই হবে ২২ এজেন্টের
এত ছোট-ছোট ঘরে একসঙ্গে ২২ জন এজেন্ট বসবেন কী করে? আগামী ১ জুনের উপনির্বাচন ঘিরে বরাহনগরে এখন এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছেন জেলার নির্বাচনী আধিকারিকেরা।
শনিবার দমদম লোকসভার সঙ্গেই রয়েছে বরাহনগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। আবার, বরাহনগর যে হেতু দমদম লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে, তাই ওই দিন সেখানকার বাসিন্দাদের দু’টি ভোট দিতে হবে। অর্থাৎ দু’টি ইভিএমের বোতাম টিপতে হবে এক জন ভোটারকে। বিধানসভা উপনির্বাচন ও লোকসভা ভোট মিলিয়ে মোট যত জন প্রার্থী, তাঁদের সকলের যদি এজেন্ট থাকে, তা হলে অনেক বুথেই বসার জায়গা হবে না বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জানাযাচ্ছে দমদম লোকসভায় তৃণমূল, বিজেপি ও সিপিএম ছাড়াও ১১ জন নির্দল হয়ে দাঁড়িয়েছেন। অর্থাৎ, লোকসভার প্রার্থী ১৪ জন।
সব প্রার্থীর এক জন করে এজেন্ট যদি বুথে বসেন, তা হলে কী ভাবে তাঁদের বসার ব্যবস্থা করা হবে, সেটাই এখন ভাবাচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে। সূত্রের খবর, বরাহনগরের অনেক ক্লাবেও এ বার ভোটগ্রহণ কেন্দ্র করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে কোনও ভাবেই ২২ জনের বসার জায়গা হবে না। মেরেকেটে তিন থেকে চার জন বসতে পারবেন। সূত্রের খবর, বুথের ভিতরে শুধু প্রার্থীদের এজেন্টরাই বসেন না। নির্বাচনের কাজ পরিচালনার জন্য আধিকারিক, কর্মী মিলিয়ে অন্তত চার জন থাকেন।
সূত্রের খবর, বরাহনগরে মোট বুথ ২৫২টি। তার মধ্যে ৩২টি বুথ ছোট বলে নির্বাচন কমিশন চিহ্নিত করেছে। সেখানে ২২ জন এবংআরও অন্তত চার জন নির্বাচন-কর্মী কী ভাবে বসবেন, সেটাই এখন প্রশ্ন।জানা যাচ্ছে, সমস্যাটি নজরে আসার পরে কমিশনের তরফে সর্বদল বৈঠক করে অনুরোধ করা হয়েছিল, লোকসভা ও বিধানসভা মিলিয়ে এক জন এজেন্ট রাখুক দলগুলি। যদিও বরাহনগর পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ অঞ্জন পাল বলেন, ‘‘সমস্যার সমাধানে কমিশন এমন প্রস্তাবদিলেও মনে রাখতে হবে এজেন্ট কখনও দলের হয় না। প্রার্থীদেরএজেন্ট বা প্রতিনিধি হিসেবে এক জন বুথে বসেন।’’