কেন তলব নয় শুভেন্দু ? সংগৃহীত ছবি
নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে অভিষেক বলেন, "নারদ মামলায় শুভেন্দু অধিকারীকে টিভিতে টাকা নিতে দেকা গিয়েছে। দিলীপ ঘোষের বাড়ির দলিল প্রসন্ন রায়ের বাড়িতে পাওয়া গিয়েছে । হিমন্ত বিশ্বশর্মা, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ থেকে অধীর চৌধুরী, সুজন চক্রবর্তীদের কেন কেন্দ্রীয় এজেন্সি তলব করছে না--তা নিয়ে ফের সরব হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ।
২০১১-এর এই দিনেই প্রথম তৃণমূল সরকার শপথ নিয়েছিল। কাকতালীয়ভাবে ১২ বছর বাদে সেদিনই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেককে সাড়ে ন’ঘণ্টারও বেশি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। সেই জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শুরুর আগেই এদিন সকালে টুইটে তৃণমূল নেত্রী লেখেন, "২০১১-এর ২০ মে ৩৪ বছরের শাসনের অবসান হয়েছিল। কিন্তু একনায়কতান্ত্রিক সরকারের এজেন্সি রাজ আমাদের কাজ আরও কঠিন করে তুলেছে। দেশের কোটি কোটি মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। লং লিভ ২০ মে।"
সিবিআই আচমকা তলব করায় তৃণমূলের জনসংযোগ যাত্রার থামিয়ে শনিবার সকালে নিজাম প্যালেসে পৌঁছে গিয়েছিলেন অভিষেক। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব সেরে বেরিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রসন্ন রায়ের বাড়ির দলিল দিলীপ ঘোষের বাড়িতে পাওয়া গেলেও বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতিকে কেন তদন্তকারী এজন্সি ডাকছে না। সারদা ও নারদ কেলেঙ্কারিতে কেন শুভেন্দু অধিকারীকেই বা কেন ডাকা হচ্ছে না।সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের চিঠিতে অধীর চৌধুরী ও সুজন চক্রবর্তীর নাম থাকলেও এই বাম-কংগ্রেস নেতৃত্বকেই বা কেন এজেন্সি ডাকে না? এদিন রাতে নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে অভিষেক বলেন, "নারদ মামলায় শুভেন্দু অধিকারীকে টিভিতে টাকা নিতে দেকা গিয়েছে। দিলীপ ঘোষের বাড়ির দলিল প্রসন্ন রায়ের বাড়িতে পাওয়া গিয়েছে। সুদীপ্ত সেনের চিঠিতে সুজন চক্রবর্তী, অধীর চৌধুরীর নাম রয়েছে। কিন্তু এঁদের কাউকে ইডি-সিবিআই ডাকে না।"
জেলবন্দি সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের তৃতীয় চিঠিকে হাতিয়ার করে এদিন শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করার দাবি করেছে তৃণমূল নেতৃত্বও। জেল থেকে সুদীপ্ত সেন অতীতে দু’টি চিঠি লিখেছিলেন। সেই চিঠিতে তিনি বিমান বসু, শুভেন্দু অধিকারী, অধীর চৌধুরী প্রমুখ নেতার নাম উল্লেখ করেছিলেন।
চিঠির ভিত্তিতে যদি অভিষেককে এই ভাবে ডেকে পাঠানো হয়, তা হলে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের চিঠির ভিত্তিতে শুভেন্দু অধিকারীকে জেরা ও গ্রেফতার করা হবে না কেন?"তবে অতীতে তিনি বারবারই বলেছেন, কোনও জেল খাটা আসামীর কোনও কথার জবাব তিনি দেবেন না। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এ দিন বলেন, "আদালতের নির্দেশে এই তদন্ত চলছে।নারদা কেলেঙ্কারির বিজেপি ও তৃণমূল উভয়ে জড়িত। তাই তদন্ত বিজেপি-তৃণমূল একসঙ্গে মিলে আটকাচ্ছে।"