You will be redirected to an external website

মানত করলেই মিলবে দুর্যোগ থেকে মুক্তি !

ঠাকুরের কাছে মনস্কামনা করলেই রোগমুক্তি ! সংগৃহীত ছবি

বাবা ধর্মরাজ ঠাকুরের পুজো ও মেলাকে ঘিরে প্রবল উৎসাহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার চড়াবিদ্যা গ্রামে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ প্রতিবছর বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন আয়োজিত এই মেলায় উপস্থিত হন। ভোর থেকেই চলে বাবা ধর্মরাজ ঠাকুরের মেলা। এই মন্দিরে এসে বাবা ধর্মরাজকে পুজো দিয়ে মানত করলে নাকি যে কোন রোগ থেকেই মুক্তি মেলে। কার্যত এই বিশ্বাসেই দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন মেলায়। পুজো দিয়ে মন্দিরের চারপাশে দণ্ডি কেটে মানত করেন অনেকেই। আর সেই মানত পূরণ হলে আবার বাবার কাছে আসেন তাঁরা মানত চোকাতে।

১৯৪৬ সালে স্থানীয় জমিদার শশীভূষণ নস্কর এই মন্দির স্থাপন করে পুজো শুরু করেন। গ্রামে সেই সময় কলেরা দেখা দিয়েছিল, বহু মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছিল। সেই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতেই বাবা ধর্মরাজের মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন জমিদার শশীভূষণ। বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন ধুমধাম করে পুজো হয়। সেই পুজোর পর থেকেই গ্রামের মানুষ সুস্থ হতে থাকেন। সেই থেকেই প্রতিবছর বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন এই ধর্মরাজের পুজো অনুষ্ঠিত হয় চড়াবিদ্যা গ্রামে। পুজোকে কেন্দ্র করে একদিনের মেলাও বসে এলাকায়।

দূর দূরান্ত থেকে মানুষজন আসেন ভোর থেকেই। অনেক রাত পর্যন্ত চলে এই পুজো ও মেলা। মন্দিরের সামনে থাকা পুকুরে স্নান করে মন্দিরে পুজো দেন সকলে। মানত করতে মন্দিরের সামনের অশ্বত্থ গাছে ঢিল ও বাঁধেন। অনেকেই মনস্কামনা পূরণ হলে বাবা ধর্মরাজ ঠাকুরের মূর্তি নিয়ে আসেন মন্দির চত্বরে। সেখানে পুজো দিয়ে মূর্তি মন্দিরের নামে উৎসর্গ করে যান। বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে এই রীতি।

AUTHOR :

ষষ্ঠীতে-ঝলমলে-আকাশ,-অষ্টমীর-সকাল-থেকেই-বৃষ্টিতে-ভিজবে-দক্ষিণবঙ্গের-একাধিক-জেলা Read Previous

ষষ্ঠীতে ঝলমলে আকাশ, অষ্ট...

‘মোকা’-তৈরির-অনুকূল-পরিস্থিতি-বঙ্গোপসাগরে!-বৃষ্টিতে-ভিজতে-পারে-দক্ষিণবঙ্গের-চার-জেলা Read Next

‘মোকা’ তৈরির অনুকূল পরি...