পর্ষদের অফিসেই চাকরি বিক্রির বৈঠক! সংগৃহীত ছবি
শিক্ষকপদের চাকরি বৈঠকের সভা বসত শিক্ষা পর্ষদের অফিসেই ।২০১৪ সালে টেট পরীক্ষায় ৩২৫ জন চাকরিপ্রার্থীর তালিকা সুজয় ভদ্রর হাত দিয়ে মানিকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া, এই ৩২৫ জনকে চাকরি পাইয়ে দিতে ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা তাপস মণ্ডলের কাছ থেকে নিয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ। রিমান্ড লেটারে এমনই দাবি করেছে ইডি।
অর্থের বিনিময়ে চাকরি বিক্রির অভিযোগে তোলপাড় বাংলা। পার্থ, অর্পিতা সহ শিক্ষা দফতরের সঙ্গে যুক্ত একাধিক হেভিওয়েট জেলে। সদ্য ইডির জালে ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। দুর্নীতিতে কী ভূমিকা এই ‘কাকু’র? আদালতে রিমান্ড লেটারে চাঞ্চল্যকর সব দাবি করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। ইডি-র দাবি, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অফিসেই বসত চাকরি বিক্রির বৈঠক! কাজ করানোর জন্য সেখানে তৎকালীন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর কাছে যেতেন কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।রিমান্ড লেটারে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট জানিয়েছে যে, ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটের ৩২৫ জন অযোগ্য প্রার্থীকে টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দিতে তাপস মণ্ডলের কাছ থেকে ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন কুন্তল। জেরায় সেকথা জানিয়েছেন তাপসবাবু। এর পর সেই তালিকা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের হাতে তুলে দেন কুন্তল।
অভিযোগ, তালিকা নিয়ে মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে পর্ষদের অফিসে বৈঠক করতেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। অভিযোগ, সুজয়কৃষ্ণকে ৭০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন কুন্তল। তার মধ্যে ১০ লক্ষ টাকা তৃণমূল কাউন্সিলর সন্তু বন্দ্যোপাধ্যায়, তৎকালীন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছেছিলেন সুজয়কৃষ্ণই ।