You will be redirected to an external website

ক্যাশবাক্স থেকে প্রায় ১২ হাজার টাকা নীজের গর্তে সঞ্চিত রাখল হৃষ্ট পুষ্ট সাইজের এক 'চোর ইদুঁর ''

ক্যাশবাক্স-থেকে-প্রায়-১২-হাজার-টাকা-নীজের-গর্তে-সঞ্চিত-রাখল-হৃষ্ট-পুষ্ট-সাইজের-এক-'চোর-ইদুঁর-''

সিসিটিভিতে ধরা পড়ল 'চোর' ইঁদুরের কীর্তি! সংগৃহীত ছবি

 বাড়ি অথবা দোকান থেকে চুরির ঘটনা হামেশাই হয়ে থাকে। তবে এখন অধিকাংশ জায়গায় CCTV পৌঁছে যাওয়ার কারণে সেই সকল চুরির ঘটনা খুব সহজেই দেখতে পাওয়া যায় এবং চোরকে শনাক্ত করা যায়। তবে এই সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চোরকে শনাক্ত করতে গিয়ে এমন এক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে হবে তা হয়তো কেউ ভেবে উঠতে পারেননি।

পূর্ব মেদিনীপুরের  তমলুকের হাসপাতাল মোড়ে থাকা জেলা পরিষদ মার্কেট কমপ্লেক্সে রয়েছে অমল কুমার মাইতি নামে এক ব্যক্তির মশলার দোকান। বুধবার রাতে ওই ব্যক্তি দোকানের ক্যাশ বাক্সে নগদ ১৩ হাজার টাকা রেখে গিয়েছিলেন। কিন্তু সকালে এসে তার চোখ রীতিমতো কপালে উঠে যায়।দোকানের বিক্রি হওয়া অর্থ ক্যাশ বাক্সে রেখে রাতে চলে যায় দোকানের মালিক। সকালে এসে দেখে ক্যাশ বাক্সে টাকা নেই। কিন্তু ক্যাশ বক্সের বা দোকানের মেন গেটের তালা ভাঙা নেই। এই অভিনব চুরি থেকে অবাক হয় মালিক। দোকানের অন্যান্যদের জানায় তারা নিয়েছে কি না। কিন্তু অন্যান্য কর্মচারীরা জানায় কেউই টাকায় হাত দেয়নি তবে এতোগুলা টাকা গেল কোথায়। চিন্তায় পড়ে দোকানের মালিক। পরে দোকানের গর্ত থেকে উদ্ধার হল খোয়া হয়ে যাওয়ার ১২ হাজার ৭০০ টাকা। সসিটিভি ক্যামেরাকে সাক্ষী রেখে চোরাই মাল চেনা জায়গায় রাখতে যেত চোর। চোর কে দেখে অবাক হন  দোকানের মালিকসহ অন্যান্যরা।

অমলবাবুর দোকানে চার-চারটি সিসিটিভি ক্যামেরা। পুলিশের ফোন করার আগে একবার তার ফুটেজ দেখবেন বলে ঠিক করলেন অমলবাবু। চালানো হল ফুটেজ। অস্বাভাবিক কিছু ধরা পড়ল না। দোকানের এক কর্মচারী রাতে সেখানে থাকেন। তাঁকেও ফুটেজে দেখা যাচ্ছিল না। তাছাড়া কাউকে অকারণে দোষারোপ করতেও নারাজ অমলবাবু। ফলে ফের মনমরা হয়ে গেলেন। থম মেরে বসেই রইলেন দোকানে। এভাবে কিছুক্ষণ কাটার পর কয়েকজনের পরামর্শে আবারও ফুটেজ দেখার পরিকল্পনা হল। এবার আরও খুঁটিয়ে দেখা হল সারারাতের ফুটেজ। দেখতে দেখতে হাই উঠতে শুরু করল সবার। কিন্তু চোরের দেখা নেই। এই করতে করতে সিসিটিভির ঘড়িতে রাত শেষ হয়ে সকাল সাতটা। হঠাৎ একজন চিৎকার করে উঠলেন- 'এক মিনিট। এক মিনিট। তাঁর কথা শুনে ফুটেজের রিওয়াইন্ড হল। আর শনাক্ত হল অপরাধীও। দেখা গেল চোর বাবাজিটি আর কেউ নয়, বেশ হৃষ্টপুষ্ট সাইজের একটি ইঁদুর।পরে দোকানের গর্ত থেকে উদ্ধার হল খোয়া হয়ে যাওয়ার ১২ হাজার ৭০০ টাকা। সসিটিভি ক্যামেরাকে সাক্ষী রেখে চোরাই মাল চেনা জায়গায় রাখতে যেত চোর। চোর কে দেখে অবাক হওয়ার দোকানের মালিকসহ অন্যান্যরা।
 

AUTHOR :Rita Ghosh

গাড়ি-থেকে-নামলেন,-হেঁটে-গেলেন,-রাস্তা-আটকে-রাখা-বিশাল-সাপ-খালি-হাতে-সরিয়েও-দিলেন! Read Previous

গাড়ি থেকে নামলেন, হেঁটে ...

‘দুটো-বিয়ে-করব’!বরের-সঙ্গে-প্রেমিককেও-বিয়ে-করতে-চেয়ে-থানায়-তাণ্ডব-নববধূর Read Next

‘দুটো বিয়ে করব’!বরের সঙ...