জলের দরে খেয়ে আসুন অরিজিৎ সিংয়ের ‘হেঁশেলে’
বহু সেলেব্রিটিরাই হোটেল ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে জড়িত। বাইশ গজ থেকে সিনেপর্দার তারকাদের অনেকেরই রেস্তরাঁ রয়েছে। তবে সেই ঝাঁ চকচকে দোকানে খেতে গেলে অনেক সময়েই মধ্যবিত্তদের নাভিশ্বাস ওঠে। তবে অরিজিৎ কিন্তু এক্ষেত্রে হেঁটেছেন অন্যপথে। সাধারণ মানুষদের পকেটের কথা মাথায় রেখে ‘হেঁশেল’ চালাচ্ছেন তিনি। যাতে কম খরচেও দু’-বেলা দু’ মুঠো ভাত খেতে পারেন।
বাংলার গর্ব জিয়াগঞ্জের ভূমিপুত্র। খ্যাতির চূড়ায় পৌঁছেও মাটির মানুষ অরিজিৎ সিং। তাঁর গানে মুগ্ধ আসমুদ্র হিমাচল। এবার সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল অরিজিতের রেস্তোরাঁ। হেঁশেল নামের রেস্তোরাঁ কি সত্যিই বিশ্ববিখ্যাত গায়কের?জিয়াগঞ্জের ওই রেস্তোরাঁয় পৌঁছে জানা গেল, রেস্তোরাঁটি চালান সঙ্গীত শিল্পী অরিজিতের পরিবার। সঙ্গীত জগতে তাঁর খ্যাতির পাশাপাশি এবার তাঁর পারিবারিক রেস্টুরেন্ট হেঁশেলের সুনাম বাড়ছে তরতর করে। জেলা, রাজ্য ছাড়িয়ে দেশ বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে জিয়াগঞ্জের হেঁশেলের সুখ্যাতি। এমনকী ফেসবুক কনটেন্ট ক্রিয়েটার ও ফুড ব্লগারদেরও ভিড় ক্রমশই বাড়ছে সেখানে।
উল্লেখ্য, অরিজিৎ সিংয়ের হেঁশেলে পড়ুয়ারা পাবেন বিশেষ ছাড়। সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা অবধি খোলা তাকে এই রেস্তরাঁ। ডাল-ভাত, সবজি, মাছ-মাংস থেকে শুরু করে নান কিংবা বিরিয়ানির মতো খাবারও পাবেন।দাম মোটে ৫০ টাকা থেকে ১৫০ টাকার মতো। ৪০ টাকায় ভেজ থালি পেয়ে যাবেন। সস্তার হোটেলে এখন নিত্যদিন ভিড় বাড়ছে। সম্প্রতি, অরিজিৎ সিংয়ের জন্মদিনে সেই হেঁশেলের খাবারই বিনামূল্যে দুঃস্থ মানুষদের খাইয়ে মানবিকতার উদযাপন করেছেন তাঁর বাবা.