দরজা খুলে ডেলিভারি নিল শিম্পাঞ্জি
বিজ্ঞানীরা বলেন, শিম্পাঞ্জির মস্তিষ্ক নাকি অনেকটা মানুষের মতোই কাজ করে। প্রাণীজগতে তাকে স্মার্ট বলাই যায়। কতখানি স্মার্ট? তাই-ই এবার কাজে প্রমাণ করে দিল এক শিম্পাঞ্জি। দরজা খুলে পিৎজার ডেলিভারি নিয়ে রীতিমতো তাক লাগাল প্রাণীটি।
ব্যাপারটা পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত ছিল যিনি পিৎজা ডেলিভারি করতে এসেছিলেন তাঁর কাছেও। এক মহিলাই পৌঁছে দিতে এসেছিলেন পিৎজা। অভ্যাসমতো ব্যাগ নামিয়ে তিনি প্যাকেটটি বের করেন। তারপর টোকা দেন দরজায়। আর তাঁকে অবাক করে দরজা খুলে বেরিয়ে আসে ‘ফিটফাট’ একটি শিম্পাঞ্জি। প্রথমে ঘটনায় হকচকিয়েই যান মহিলা। কয়েক কদম পিছিয়ে আসেন তিনি। তাঁকে আরও অবাক করে এবার তাঁর দিকে টাকা বাড়িয়ে দেয় শিম্পাঞ্জিটি। দেখে মনে হচ্ছিল, এই কাজ করতে সে রীতিমতো অভ্যস্ত। সে যে শিম্পাঞ্জি, মানুষ নয়- তার কাজে প্রায় বোঝাই যাচ্ছিল না। এরপরই মহিলা টাকা নিয়ে তার দিকে এগিয়ে দেন পিৎজার প্যাকেটটি। শিম্পাঞ্জি পিৎজা নিয়ে চলে যায় ঘরের মধ্যে। আর মহিলা তড়িঘড়ি তাঁর ব্যাগ নিয়ে হাঁটা দেন উলটো পথে।
জানা যাচ্ছে, এই ঘটনা রাশিয়ার। যে ভিডিওটিতে এই অবাক করা ঘটনাটি দেখা যাচ্ছে, সেটা ওই বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ। পরে সেটি আপলোড করা হয় টুইটারে। তবে শিম্পাঞ্জিটি বাড়ির মালিকের পোষ্য কি-না, বা তাকে এইসব কাজে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে কি-না, তা অবশ্য জানা যায়নি। এই ভিডিও নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়তে অবাকই হয়েছেন নেটিজেনরা। শিম্পাঞ্জির বুদ্ধিমত্তার নানা গল্প শোনা যায়। তবে সে যে দরজা খুলে পিৎজা নিয়ে দামও মিটিয়ে দিতে পারবে, তা যেন অনেকেরই ভাবনার বাইরে। অথচ ভাইরাল ভিডিওটি জানাচ্ছে, মানুষের মতো কাজকর্মে কোনও অংশেই কম যায় না এই শিম্পাঞ্জিটি। পিৎজার ডেলিভারি নিয়ে সে কথাই যেন প্রমাণ করে দিল প্রাণীটি।