You will be redirected to an external website

আসতে ভয় পান সকলে!কিন্তু জয়াম্মা ঘর বেঁধেছেন সেই শ্মশানে...নারীর জীবনসংগ্রামের সাক্ষী চিতা

আসতে-ভয়-পান-সকলে!কিন্তু-জয়াম্মা-ঘর-বেঁধেছেন-সেই-শ্মশানে...নারীর-জীবনসংগ্রামের-সাক্ষী-চিতা

সমস্ত বাধা জয় করে সাফল্যের মুখ দেখেছেন জয়াম্মা

অন্ধ্রপ্রদেশের আনাকাপল্লি জেলার বাসিন্দা জয়াম্মা। তাঁর সাহসের কাছে হার মানতে বাধ্য যে কোনও পুরুষ। আর সেই সাহসে ভর করেই জয়াম্মা হয়ে উঠতে পারেন অন্য যে কোনও নারীর ‘রোল মডেল’। জীবনের সমস্ত বাধা জয় করে সাফল্যের মুখ দেখেছেন জয়াম্মা।

জীবনের শেষ পরিণতি শ্মশানে বা কবরে। সেই দিকে তাকাতে অনেক মহিলাই ভয় পান। কিন্তু জয়াম্মা ঘর বেঁধেছেন সেই শ্মশানে।স্বামীকে নিয়ে ছিল জয়াম্মার সুখের সংসার। সেই সময়ে আনাকাপল্লি ছিল বিশাখা জেলার অংশ। কিন্তু বছর কুড়ি আগে স্বামীকে হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েন জয়াম্মা।

একদিকে রোজগেরে মানুষের মৃত্যু, অন্যদিকে চার সন্তানের দায়িত্ব, তবে জয়াম্মা বিচলিত হননি। বরং দৃঢ়ভাবে স্বামীর পেশাকেই বেছে নিয়েছিলেন নিজের জীবন চালানোর পাথেয় হিসেবে। সেই মতো তিনি সন্তানদের সঙ্গে নিয়েই ঘর বাঁধেন আনাকাপল্লির গাভারপালেম শ্মশানে। শুরু করেন শ্মশান রক্ষার কাজ।যেসব স্থানে দিনের আলোয় পুরুষেরাও যেতে ভয় পান, সেইখানে শুরু হয় জয়াম্মার নতুন সংসার। জয়াম্মা বলেন, ‘প্রথম দিকে কিছু লোক আমাকে নিয়ে তামাশাও করত। সন্তানদের নিয়ে শ্মশানে থাকি বলে দুনিয়ার কাছে এক অদ্ভুত মানুষ হয়ে গিয়েছিলাম।’

তবে পরিস্থিতি যে মোটেও অনুকুল ছিল না, তা মনে করে আজও কেঁপে ওঠেন জয়াম্মা। শ্মশান সামলাচ্ছেন এক মহিলা, এমন ছবি দেখতে মোটেও অভ্যস্ত ছিলেন না তখনকার মানুষজন। তাঁরা অনেকেই শবদেহ নিয়ে চলে যেতেন অন্য শ্মশানে।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয় হয় জয়াম্মার জেদের। তাঁর আত্মবিশ্বাস নড়িয়ে দেয় অন্যদের বিশ্বাসের ভিত। আবার একে একে মানুষ আসতে থাকেন গাভারপালেম শ্মশানে। শুরু হয় দাহ কাজ। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার শবদাহের সাক্ষী থেকেছেন জয়াম্মা।

AUTHOR :RIMA

গাড়ি-থেকে-নামলেন,-হেঁটে-গেলেন,-রাস্তা-আটকে-রাখা-বিশাল-সাপ-খালি-হাতে-সরিয়েও-দিলেন! Read Previous

গাড়ি থেকে নামলেন, হেঁটে ...

মাসের-শেষ।-হাতে-টাকা-নেই?জলের-দরে-খেয়ে-আসুন-অরিজিৎ-সিংয়ের-‘হেঁশেলে’ Read Next

মাসের শেষ। হাতে টাকা নেই?...