কালীর গায়ের রং ধপধপে সাদা
বীরভূম জেলার সিউড়ি শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে অজয়পুর গ্রামে ময়ূরাক্ষী নদীর পাড়ে এই পুজো হয়। বহু দিন আগে এই অজয়পুরের পাশেই ব্রজরপুর নামে এক গ্রাম ছিল। ১৯৭৮ সালের বন্যায় এই গ্রাম ভেসে যায় এবং গ্রামবাসীরা অজয়পুর গ্রামে আশ্রয় নেয়।
এই ব্রজরপুর গ্রামে জ্বালাতন সাধু নামে এক সাধু থাকতেন। তিনিই নাকি এই পুজোর সূচনা করেন। শুধু কালীর বর্ণই যে আলাদা, তা নয়। পুজোর তিথি সম্পর্কে শুনলেও অবাক হবেন আপনি। অমাবস্যা নয়, অগ্রহায়ণ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এই কালীপুজো হয়।
শোনা যায়, অমাবস্যার রাতে অন্ধকারে প্রদীপের আলোয় ঠিক ভাবে পুজো করা যেত না। তাই জ্বালাতন সাধু পূর্ণিমা তিথিতে এই পুজোর প্রচলন করেন। মৃত্যুর আগে সাধু এই পুজোর ভার দিয়ে যান অজয়পুরের হৃষিকেশ মাহারাকে। তার পর থেকে তাঁরই বংশধর এই পুজো করে আসছেন। বর্তমানে মহেশ্বর মাহারা এই পুজো করেন। এই পুজো নিয়ে এলাকায় উৎসাহ চোখে পড়ার মতো। পুজোর দিনে ভিড় উপচে পড়ে এখানে।