সেবার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি প্রভু যীশু খ্রীষ্ট
গুড ফ্রাইডে-তে প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ত্যাগের চেতনার কথা স্মরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী টুইট করে লিখেছেন, সেবা ও করুণার আদর্শ থেকে কখনও বিচ্যুত হননি প্রভু যীশু খ্রীষ্ট, তাঁর চিন্তাভাবনা আমাদের অনুপ্রাণিত করতে থাকুক। গুড ফ্রাইডে হল পবিত্র সপ্তাহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই উৎসবের অপর নাম “পবিত্র শুক্রবার”, “কালো শুক্রবার”, “মহান শুক্রবার”। বাইবেল অনুসারে, খ্রিষ্টের ক্রুশবিদ্ধ ও মৃত্যুদিন হিসেবে গুড ফ্রাইডে পালন করা হয়। গুড ফ্রাইডে যীশু খ্রিস্টের ক্রুশবিদ্ধ ও মৃত্যুর দিন হিসাবে স্মরণ করা হয়। এটি ক্যাথলিক, লুথারান, অ্যাংলিকান এবং মেথডিস্ট-সহ সারা বিশ্বের খ্রিস্টানদের জন্য একটি বিশেষ দিন।
রোমের রাজার নির্দেশে কলভারিতে শুক্রবার যীশু মসিহকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল। কুসংস্কারাচ্ছন্ন ও মিথ্যের আশ্রয় গ্রহণকারী ধর্মগুরুরা যীশুর ক্রমবর্দ্ধমান জনপ্রিয়তার ফাঁপরে পড়ে গিয়েছিলেন। তাঁদের প্ররোচনায় রাজা যীশুকে ক্রুশবিদ্ধ করার নির্দেশ দেন। যীশুর বাণী লোকজনের ওপর প্রভাব ফেলেছিল। দলে দলে সবাই তাঁর অনুগামী হয়ে উঠতে শুরু করেছিল। এতে কিছু স্বার্থান্বেষীর স্বার্থে ঘা পড়ে। তাঁরা রাজাকে যীশুর বিরুদ্ধে প্ররোচিত করার চেষ্টা করেন। এরপরই রাজা যীশুকে ক্রুশবিদ্ধ করার নির্দেশ দেন। প্রভু যীশু তাঁর সমগ্র জীবন জনগনের কল্যাণে নিবেদন করেছিলেন। ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার পর দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা যন্ত্রণা ভোগ করেন যীশু।সকলকে ভালোবাসতে গিয়ে মানুষের পাপের বোঝা বইতে গিয়ে আত্মনিবেদন করেন যীশু।
গুজ ফ্রাইডের তৃতীয় দিন অর্থাৎ রবিবার ঈশ্বরের পুত্র যীশু ফের জীবিত হয়ে উঠেছিলেন। এরপর থেকে ৪০ দিন তিনি জনগনের কাছে গিয়ে তাঁর উপদেশ প্রদান করেন।
প্রভু যীশুর পুণরুজ্জীবিত হয়ে ওঠার এই ঘটনা ইস্টার সানডে হিসেবে পালিত হয়। এর তাৎপর্য্য হল শুভ শক্তির জয় হয় সর্বদা। গুড ফ্রাইডে-তে প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ত্যাগের চেতনার কথা স্মরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী মোদী টুইট করে লিখেছেন, গুড ফ্রাইডে-তে প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ত্যাগের চেতনাকে আমরা স্মরণ করছি। তিনি বেদনা ও যন্ত্রণা সহ্য করেছিলেন, কিন্তু তাঁর সেবা ও করুণার আদর্শ থেকে কখনও বিচ্যুত হননি। প্রভু খ্রীষ্টের চিন্তা মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে থাকুক।