এক জোড়া হাওয়াই চটির দাম ৯ হাজার
একটি হাওয়াই চপ্পলের দাম কত হতে পারে? ১৫০-২০০ বা খুব বেশি হলে ৩০০ টাকা। তবে বাজারে ১৫০-২০০ টাকার হাওয়াই চপ্পলেরই বেশি চল। কিন্তু ‘হুগো বস’ নামে একটি বিলাসবহুল বিপণী সংস্থা সম্প্রতি বাজারে নতুন মডেলের হাওয়াই চপ্পল এনেছে। যার দাম প্রকাশ্যে আসতেই ভিরমি খাওয়ার অবস্থা হয়েছে বেশির ভাগ লোকেরই।বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংস্থাটি যে নতুন মডেলের হাওয়াই চপ্পল এনেছে, সেটির দাম ৮,৯৯০ টাকা। যদিও চপ্পলের আসল দাম সাড়ে ১৯ হাজার টাকা। ৪৫ শতাংশ ছাড়ের পর সেটি ৮,৯৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিজ্ঞাপনে এমনই দাবি করা হয়েছে। সাধারণ মানের একটি চপ্পলের দাম নিয়ে যখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে সমাজমাধ্যমে, সংস্থাটি চপ্পল বিক্রি করলেও তার দাম প্রায় সাড়ে ৪ হাজার টাকা। তা-ও আবার ভাইরাল হওয়া বিজ্ঞাপনে যে চপ্পলের ছবি দেওয়া হয়েছে, ‘হুগো বস’-এর ওয়েবসাইটে সেই চপ্পলের কোনও ছবিই নেই। ফলে বিষয়টি সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।
ন’হাজার টাকার চপ্পলের সেই বিজ্ঞাপন ঘিরে নানা রকম প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে। কেউ কেউ বলেছেন, “একটি সাধারণ মানের হাওয়াই চপ্পলের জন্য ৯ হাজার টাকা কে খরচ করবে?” সকলেরই এক প্রশ্ন, যেখানে বাজারে ঠিক একই রকম দেখতে হাওয়াই চপ্পল পাওয়া যায় ১৫০ টাকায়, সেখানে এই চপ্পলের বিশেষত্ব কী? কেনই বা এত টাকায় কিনতে যাবেন?
এক জন আবার বলেছেন, “চোরবাজারে এই চপ্পল মাত্র ৫০ টাকায় মিলবে। ফারাক শুধু একটাই। যে হেতু নামী ব্র্যান্ড, তাই দামও আকাশছোঁয়া।” এক জন তো আবার বলেছেন, “এ তো বাথরুমে পরার চটি!”এক জোড়া হাওয়াই চপ্পল! যার দাম শুনে একেবারে চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড়!
সম্প্রতি ট্যুইটারে এক জোড়া নীল রঙের হাওয়াই চপ্পলের ছবি ভাইরাল হয়েছে। যার দাম প্রায় ৯ হাজার টাকা! যা শুনে রীতিমতো ভিরমি খাচ্ছেন নেটিজেনরা! যদিও প্রথমে দামটা শুনে অনেকেই হয় তো ভেবেছিলেন যে, একশো জোড়া হাওয়াই চটির দাম ৯ হাজার টাকা। কিন্তু আসলে তা নয়! একটা হাওয়াই চপ্পলেরই এত দাম!
কিন্তু দামের এত কারণ কী? আর কী-ই বা আছে তাতে? আসলে লাক্সারি ব্র্যান্ড হিউগো বস ওই হাওয়াই চপ্পলের বিক্রেতা ও নির্মাতা। যার ফলে গোটা নেটদুনিয়া জুড়ে হিউগো বস-কে নিয়ে উঠেছে ঠাট্টার রোল। এমনিতে ভারতের ঘরে ঘরে এই ধরনের হাওয়াই চপ্পল একজোড়া তো অন্তত থাকবেই। বিশেষ করে বাথরুমে যাওয়ার জন্য এক পাটি হাওয়াই চটি রাখা থাকে। আর যে হাওয়াই চপ্পলের ছবিটি ভাইরাল হয়েছে, সেটি আমাদের সাধারণ হাওয়াই চটির মতোই। যার দাম কখনওই দেড়শো টাকার বেশি হতে পারে না!ট্যুইটারে হিউগো বস-এর হাওয়াই চপ্পলের দাম আর ছবি ভাইরাল হতেই ভারতীয়রা তা নিয়ে ঠাট্টা শুরু হয়েছে। এক জন তো সোজাসাপ্টা লিখেই দিয়েছেন যে, “যদি কোনও দিন কোটিপতিও হয়ে যাই, তা-হলেও আমি এই দামে এই চপ্পল কিনব না!” শুধু কি তা-ই? অনেকে আবার বলছেন যে, “এই ধরনের এক জোড়া হাওয়াই চপ্পল প্যারাগন বিক্রি করে থাকে। যার দাম খুব বেশি হলে ১০০ টাকা হবে!”আসলে এই ধরনের কিছু জিনিস হামেশাই ট্যুইটারে আসে। আর অস্বাভাবিক কিংবা লাগামছাড়া দামের জন্য যা ভাইরাল হয়। এই তো দিন কয়েক আগেই একটা সাধারণ শর্টস ভাইরাল হয়েছিল। যার দাম ছিল প্রায় ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা! এখানেই শেষ নয়, ভাইরাল হয়েছিল প্রায় ১১ হাজার ৪৫০ টাকা দামের একটা শার্টও। সেই তথ্য শেয়ার করেছিলেন আরশাদ ওয়াহিদ নামে এক ট্যুইটার ব্যবহারকারী। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, “এর দাম ১৫ হাজার টাকা কেন?” যেটার জন্য মানুষ সবথেকে বেশি আশ্চর্য হচ্ছে, সেটা হল - এই সব পোশাক-আশাকের মধ্যে আলাদা করে চোখে পড়া কিংবা নজর কাড়ার মতো তেমন তো কিছুই নেই! রোজকার পরার পোশাকের মতোই সাধারণ! অথচ সাধারণ পোশাকেরই এমন আকাশছোঁয়া দাম! এখন সেই কারণই খুঁজছেন নেটাগরিকরা!