দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে লজ্জার হার অস্ট্রেলিয়ার
আইপিএলের পর লখনউয়ের পিচ পুরো বদলে ফেলা হয়েছিল। এই পিচ তাই দুই দলের কাছেই অজানা ছিল। আর লখনউয়ের পিচের মতোই এই অস্ট্রেলিয়াকে অচেনা দেখাল। জোড়া ম্যাচ হেরে অজিরা বেশ চাপে। অন্যদিকে আন্ডারডগ দক্ষিণ আফ্রিকা জোড়া ম্যাচ জিতে নিজেদের দাপট বজায় রাখল। পরপর দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি কুইন্টন ডি’ককের। এর আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার তিন ব্যাটার শতরান করেছিলেন। আজ ডি’কক করলেন। একদিকে টানা সেঞ্চুরি ডি’ককের। অন্যদিকে জোড়া হার অস্ট্রেলিয়ার।
টস জিতে প্রথমে প্রোটিয়াদের ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ভারতের বিরুদ্ধে এর আগের ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করেছিল অস্ট্রেলিয়া। তাতে হেরেছিলেন কামিন্সরা। এ বার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে রান তাড়া করার সিদ্ধান্ত নিয়েও ব্যর্থ হল অস্ট্রেলিয়া। শুরুতে ব্যাটিং করে শতরান করেন দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেট কিপার ব্যাটার কুইন্টন ডি’কক। অর্ধশতরান মিডল অর্ডারের তারকা এইডেন মার্কব়্যামের। ক্যাপ্টেন তেম্বা বাভুমার ব্যাটে আসে ৩৫ রান। সব মিলিয়ে প্রথমে ব্যাটিং করে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩১১ রান তোলে প্রোটিয়ারা।
বড় রান তাড়া করতে নেমে মার্নাস লাবুশেন ছাড়া টপ অর্ডারের কেউ লড়াই করতে পারেননি। মিচেল মার্শ (৭), ডেভিড ওয়ার্নার (১৩), স্টিভ স্মিথ (১৯) কারও ব্যাট চলেনি। সপ্তম উইকেটে মিচেল স্টার্ক ও মার্নাস লাবুশেন জুটি দলকে খানিকটা এগিয়ে নিয়ে যান। দলের চাপের পরিস্থিতিতে ৪৬ করেন মার্নাস লাবুশেন। শেষ বেলায় ক্যাপ্টেন কামিন্স কিছুটা দলকে টানার চেষ্টা করেন। তবে ২২ করে ফিরে যান। কাগিসো রাবাডা নেন ৩টি উইকেট। ২টি করে উইকেট গিয়েছে মার্কো জ্যানসেন, কেশব মহারাজ ও তাবরাইজ শামসির ঝুলিতে। ১টি উইকেট পেয়েছেন লুনগি এনগিডিও। রাবাডা-কেশবদের দাপটে ৪০.৫ ওভারে ১৭৭ রানে অলআউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ১৩৪ রানের বিরাট ব্যবধানে জিতল প্রোটিয়ারা।