ওয়ার্নার-মার্শ জুটির দাপটে বিশ্বকাপে দ্বিতীয় জয় অস্ট্রেলিয়ার
প্রথম উইকেটেই যদি কোনও দল আড়াইশোর বেশি রান তুলে ফেলে, তা-ও আবার ৩৪ ওভারের মধ্যে, তা হলে সেই ম্যাচের আর কী পড়ে থাকে? ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারেন, সেই দল চারশো তুলবে এবং হাসতে হাসতে ম্যাচ জিতবে। তবে শুক্রবার বেঙ্গালুরুতে অস্ট্রেলিয়া সেই কাজ করতে পারল না। ম্যাচ তারা ৬২ রানে জিতল বটে।
বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম ছোট মাঠ। তার উপর পাটা উইকেট। বিশ্বকাপ তো দূর, আইপিএলেও এই ম্যাচে ঝুরি ঝুরি রান ওঠে। সেখানে টসে জিতে আগে বল করার সিদ্ধান্ত নিলেন পাক অধিনায়ক বাবর আজম। আগে ব্যাট করে বিপক্ষের উপরে রানের বোঝা চাপিয়ে দেওয়াই যেত। এই সিদ্ধান্তই ব্যুমেরাং হয়ে গেল। খুশি মনেই আগে ব্যাট করতে নামলেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারেরা। এবং শুরু থেকেই পাক বোলারদের শাসন করে ম্যাচ নিজেদের মুঠোয় নিয়ে নিলেন।
আইপিএলে নিয়মিত খেলার সুবাদে ভারতের প্রায় প্রতিটি মাঠ হাতের তালুর মতো চেনা ডেভিড ওয়ার্নারের। ফলে ব্যাটিং সহায়ক পিচের সুবিধা নিয়ে তিনি তাণ্ডব শুরু করলেন বাইশ গজে। কোনও পাক বোলারকে দাঁড়াতে দেননি। ১০ রানের মাথায় তাঁর লোপ্পা ক্যাচ ফেলেন উসামা মির। ওয়ার্নার থামলেন গিয়ে ১৬৩ রানে।
ওয়ার্নার তবু সুযোগ দিয়েছিলেন। উল্টো দিকে থাকা মিচেল মার্শ সেটাও দেননি। জন্মদিনে খেলতে নেমে শতরান করে গেলেন। এমন নজির খুব বেশি ক্রিকেটারের নেই। দুই ব্যাটারই হাসতে হাসতে শট খেলছিলেন। অনায়াসে পাক বোলারদের সীমানার বাইরে পাঠাচ্ছিলেন। ১০০, ১৫০, ২০০, ২৫০।