ম্যাচ হাতছাড়া হার্দিকের গুজরাতের
হার্দিকের দলের ব্যাটাররা কেউ তেমন বড় রান করতে না পারলেও, প্রায় সকলেই কিছু না কিছু অবদান রাখলেন। দলগত প্রচেষ্টায় ঘরের মাঠে লড়াই করার মতো রান তোলে গুজরাত। যদিও রাজস্থানকে হারানোর জন্য সেই রান যথেষ্ট ছিল না। রবিবার রান পেলেন না ঋদ্ধিমান সাহা (৪)। প্রথম ওভারেই বাঙালি উইকেটরক্ষক-ব্যাটার আউট হলেও তার প্রভাব পড়ল না গুজরাত ইনিংসে। অন্য ওপেনার শুভমন গিল করলেন ৪৫ রান। তাঁর ৩৪ বলের ইনিংসে রয়েছে ৪টি চার এবং ১টি ছয়। তিন নম্বরে নামা সাই সুদর্শনের ব্যাট থেকে এল ১৯ বলে ২০ রান। বড় রান পেলেন না গুজরাত অধিনায়কও। ৩টি চার এবং ১টি ছয়ের সাহায্যে হার্দিক করলেন ১৯ বলে ২৮ রান। অভিনব মনোহরের অবদান ১৩ বলে ২৭। ৩টি ছক্কা এল তাঁর ব্যাট থেকে।
গুজরাতকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দিল ডেভিড মিলারের লড়াকু ইনিংস। পাঁচ নম্বরে নেমে ৩০ বলে ৪৬ রান করলেন মিলার। ৩টি চার এবং ২টি ছক্কা মারলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার। ইনিংসের শেষ ওভারে ২ উইকেট হারানোয় প্রত্যাশিত রান তুলতে পারল না গুজরাত। শেষ পর্যন্ত হার্দিকরা তুললেন ৭ উইকেটে ১৭৭ রান।
রাজস্থানের সফলতম বোলার সন্দীপ শর্মা। তিনি ২৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেন। ১টি করে উইকেট নিলেন ট্রেন্ট বোল্ট, অ্যাডাম জ়াম্পা এবং যুজবেন্দ্র চহাল। ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়েও উইকেট পেলেন না রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
রাজস্থানের হয়ে লড়াই করলেন অধিনায়ক সঞ্জু। তিনি করলেন ৩২ বলে ৬০ রান। আফগানিস্তানের ১৮ বছরের বাঁহাতি স্পিনার নুর আহমেদের বলে আউট হওয়ার আগে রাজস্থান অধিনায়কের ব্যাট থেকে এল ৩টি চার এবং ৬টি ছয়। সঞ্জুর পর রাজস্থানের ইনিংসের হাল ধরলেন হেটমেয়ার। তাঁর দাপুটে ইনিংসই চাপ সামলে জেতাল রাজস্থানকে। শেষ দিকে আগ্রাসী মেজাজে দেখা গেল ধ্রুব জুরেলকেও। তিনি ১০ বলে ১৮ রান করলেন ২টি চার এবং ১টি ছয়ের সাহায্যে। অশ্বিন করলেন ৩ বলে ১০ রান। রাজস্থানের জয় এল হেটমেয়ারের ব্যাটেই। তিনি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন ২৬ বলে ৫৬ রান করে। মারলেন ২টি চার এবং ৫টি ছক্কা।