ভারত-পাক ফাইনাল এক ম্যাচ দূরে
এক সময় সেমিফাইনালে ওঠাই অনিশ্চিত ছিল তাদের। সেই পাকিস্তানই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে গেল নিউজ়িল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়ে। বুধবার সিডনিতে প্রথম সেমিফাইনালে কেন উইলিয়ামসনের দল হারল সাত উইকেটে। প্রথমে ব্যাট করে নিউজ়িল্যান্ড ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান তোলে। ড্যারিল মিচেল অর্ধশতরান করেন। জবাবে মহম্মদ রিজ়ওয়ান এবং বাবর আজ়মের জোড়া অর্ধশতরানের সৌজন্যে সাত উইকেট বাকি থাকতে জয়ের প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় পাকিস্তান।
২০০৭-এর পর আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত-পাকিস্তান লড়াইয়ের মঞ্চ তৈরি হয়ে গেল। নিউজ়িল্যান্ডকে হারিয়ে মেলবোর্নের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলল বাবর আজমের দল। বৃহস্পতিবার ভারত অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডকে হারাতে পারলে রবিবার মেলবোর্নে ধুন্ধুমার লড়াই হতে চলেছে। রোহিত শর্মার দল যে বাড়তি তাগিদ নিয়ে নামবে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
ভারত যদি ফাইনালে ওঠে তা হলে তাদের জন্য বড় চিন্তা হতে চলেছে বাবরের ছন্দে ফেরা। চলতি প্রতিযোগিতায় একেবারেই রান পাচ্ছিলেন না বাবর। যে কারণে দলকেও বার বার ভুগতে হচ্ছিল। ওপেনিং জুটিতে কোনও ম্যাচেই বড় রান ওঠেনি। মহম্মদ রিজ়ওয়ান তবু দু’-একটি ম্যাচে ভাল খেলেন। কিন্তু বাবরের ব্যাটে রান আসছিল না। সেই অভাব মিটল বুধবার। আসল ম্যাচেই জ্বলে উঠলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক। এক সময় ১০ উইকেটে জেতার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছিল। তা অবশ্য হয়নি বাবর অতিরিক্ত মারতে যাওয়ায়।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন কেন উইলিয়ামসন। বল করতে নেমে প্রথম ওভারেই নিউজ়িল্যান্ডকে ধাক্কা দেয় পাকিস্তান। চতুর্থ বলেই ফিরে যান দলের ওপেনার ফিন অ্যালেন। ঘাতক হিসাবে দেখা দিলেন সেই শাহিন আফ্রিদি। তাঁর সোজাসুজি নেমে আসা বল আড়াআড়ি ভাবে খেলতে গিয়েছিলেন অ্যালেন। লাইন ফস্কান এবং সোজা এলবিডব্লিউ। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে নিউজ়িল্যান্ডের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন ডেভন কনওয়ে এবং কেন উইলিয়ামসন। সেখানেও বাধা পেতে হয়। শাদাব খানের দুর্দান্ত থ্রোয়ে ২১ রানেই ফিরে যান কনওয়ে। গত বিশ্বকাপে তিনি চোটের কারণে খেলতে পারেননি। এ বার আসল ম্যাচে ব্যর্থ। ঝাঁপিয়ে পড়লে রান আউট হওয়ার হাত থেকে বাঁচতে পারতেন। সেটা দেখা যায়নি।