এমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত ও পাকিস্তান
২০১৩ সালে প্রথম বার এমার্জিং এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত এ। পরের তিন বার ব্যর্থ হয়েছে তারা। তার মধ্যে এক বার ফাইনালে শ্রীলঙ্কা এ-র কাছে হারতে হয়েছে। এ বার আবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ ভারত এ-র।দু’দলের মধ্যে মানসিক ভাবে হয়তো কিছুটা এগিয়ে থাকবে ভারত। কারণ, এই প্রতিযোগিতায় গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানকে সহজেই হারিয়েছে ভারত। সেই ম্যাচের কথা মাথায় থাকবে দু’দলের। তবে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে কেউ এগিয়ে নামে না। যে কোনও দিন যে কোনও দল ম্যাচ জিততে পারে।
এমার্জিং এশিয়া কাপে এখনও পর্যন্ত সব ক’টি ম্যাচ জিতেছে ভারত। কঠিন পরিস্থিতি থেকেও বেরিয়ে এসেছে তারা। তার সব থেকে বড় উদাহরণ সেমিফাইনাল। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ২১১ রান করেছিল ভারত। বাংলাদেশের শুরুটা যে ভাবে হয়েছিল তাতে মনে হচ্ছিল ভারত হেরে যাবে। কিন্তু দলকে ম্যাচে ফেরান দুই স্পিনার নিশান্ত সিন্ধু ও মানব সুতার। তাঁদের দাপটে বাংলাদেশকে ৫১ রানে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে ভারত।
ভারতীয় দলের মূল শক্তি দলগত খেলা। এই দলের কয়েক জন ক্রিকেটারের আইপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। অধিনায়ক যশ, সহ-অধিনায়ক অভিষেক শর্মা, ব্যাটার রিয়ান পরাগ, বোলার রাজবর্ধন হাঙ্গারগেকর তাঁদের মধ্যে অন্যতম। বাকিরা তরুণ হলেও এশিয়া কাপের মতো প্রতিযোগিতার চাপ সামলাতে সক্ষম। চলতি প্রতিযোগিতায় যে ভাবে তারা খেলেছে তাতে ফুরফুরে মেজাজেই খেলতে নামবে ভারত।