পাঁচ বছরের সেই খরা কাটাতে মরিয়া রোহিত
দীর্ঘ দিন ধরে আন্তর্জাতিক মঞ্চে কোনও সাফল্য নেই। পাঁচ বছরের সেই খরা কাটাতে মরিয়া রোহিত শর্মার ভারত। শেষ বার ২০১৮ সালে এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশকে হারিয়ে ট্রফি জিতেছিল ভারত। মাঝের এই সময়ে বার বার কাপ এবং ঠোঁটের দূরত্ব রয়ে গিয়েছে।
এশিয়া কাপ জয় শুধু ট্রফি ক্যাবিনেটে নতুন সংযোজনই হবে না, বিশ্বকাপের আগে ভারতকে অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। বাংলাদেশকে সেই ম্যাচে হারানোর পর থেকে অনেকগুলি নকআউট খেলেছে ভারত। ২০১৯-এর বিশ্বকাপে হারতে হয়েছে সেমিফাইনালে। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও একই জিনিস। মাঝে ২০২১ এবং ২০২৩-এ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে হারতে হয়েছে। গত বার ভারত এশিয়া কাপের ফাইনালেই উঠতে পারেনি।
শুধু দল নয়, এই ট্রফি সমান গুরুত্বপূর্ণ রাহুল দ্রাবিড়ের কাছেও। কোচ হিসাবে তাঁর মেয়াদ বাড়বে কি না, তা ঠিক হবে এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপে ভারতের পারফরম্যান্সের উপরেই। আশানুরূপ ফল না হলে নভেম্বরের শেষেই হয়তো তাঁকে পদ ছাড়তে হবে।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিয়মরক্ষার ম্যাচে একাধিক ক্রিকেটারকে বিশ্রাম দিয়েছিল ভারত। তাঁরা প্রায় প্রত্যেকেই ফিরতে চলেছেন ফাইনালে। তবে ম্যাচে নামার আগে দু’দলেই চোটের সমস্যা রয়েছে। অক্ষর পটেলকে নিয়ে চিন্তা রয়েছে। তাঁর জায়গায় ভারত থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ওয়াশিংটন সুন্দরকে। অন্য দিকে, শ্রীলঙ্কাও পাবে না মাহিশ থিকশানাকে।
বিরাট কোহলি এবং হার্দিক পাণ্ড্যের ফেরা ভারতকে আশা জোগাবে। তাঁদের অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিডল অর্ডার মোটেই ভাল খেলতে পারেনি। মাঝের দিকে নেমে শ্রীলঙ্কার স্পিন বোলিংয়ের বিরুদ্ধে ভাল খেলতে পারলে ম্যাচে ভারতের জেতার সম্ভাবনাও বাড়বে। আরও একটি আশার নাম শুভমন গিল। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শতরান করে ফুটছেন তিনি। আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে।