তৃণমূলকে নিশানা করলেন অভিনেতা তথা রাজনীতিক মিঠুন চক্রবর্তী
বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (SIR) ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে বাড়ছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। একজন বৈধ ভোটারের নাম বাদ গেলে নয়াদিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের অফিস ঘেরাও করা হবে। আর বিজেপির বক্তব্য, একজন অবৈধ ভোটারের নাম ভোটার লিস্টে থাকলে কমিশনের অফিস ঘেরাও করা হবে। এই আবহে এসআইআর নিয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে নিশানা করলেন অভিনেতা তথা রাজনীতিক মিঠুন চক্রবর্তী। তৃণমূল যেভাবে এসআইআর নিয়ে সরব হয়েছে, তার বিরোধিতা করলেন। একইসঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, পশ্চিমবঙ্গ একমাত্র ধর্মশালা, যেখানে অভারতীয়রা খাটিয়া পেতে আরামে শুয়ে থাকে। এসআইআরের ঘোষণার পরই বাংলাদেশিরা বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার তো তোড়জোড় করছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
শনিবার হাওড়ায় বিজেপির কর্মী সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। কর্মী সম্মেলনের পর সাংবাদিকদের একাধিক প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। আর মাস ছয়েক পর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। কর্মীদের কী বার্তা দিলেন তিনি? মিঠুনের সাফ জবাব, “কর্মীদের বললাম, সবাইকে একসঙ্গে লড়তে হবে। এই লড়াই আমাদের শেষ লড়াই। কারণ, এটা যদি বাংলাদেশ হয়ে যায় আমরা কোথায় যাব? আমাদের লড়তেই হবে। এবারের লড়াই আরও জোরদার হবে।”
এসআইআর নিয়ে তৃণমূলের বিরোধিতার কারণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে মিঠুন বলেন, “নির্বাচন কমিশন কোথাও বলেনি, হিন্দুদের ভোট দিতে দেবে না কিংবা ভারতীয় মুসলিমদের ভোট দিতে দেবে না। তবে কি অভারতীয়দের জন্য লড়াই করতেই পথে নামছেন তাঁরা? আমার শুধু একটাই প্রশ্ন, অভারতীয়দের প্রতি এত ভালবাসা কেন?” তাঁর অভিযোগ, “এসআইআর নিয়ে রাজ্যে ভয়ের আবহ তৈরি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। যাতে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। নির্বাচন কমিশন কোথাও বলেনি যে রাজ্য থেকে সবাইকে তাড়িয়ে দেবে।”
একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “ভয় দেখানো ছাড়া তো আর কোনও পথ নেই। এত যে ভৌতিক ভোট, সব চলে যাবে। এটাই হাতিয়ার ছিল। তাই এত ভয়।” তাঁর প্রশ্ন, “কতবার ভূতে এসে ভোট দেবে? সেই কারণেই এসআইআর। আর এতেই রাজ্য সরকার ভয় পেয়ে ভয়ের সৃষ্টি করছে।”
রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে মিঠুন বলেন, “পশ্চিমবাংলা একমাত্র ধর্মশালা, যেখানে অভারতীয়রা খাটিয়া পেতে আরামে শুয়ে থাকে। অন্য রাজ্যে হয় না।” SIR ঘোষণার পর সীমান্তে চোরাপথে বাংলাদেশে পালানোর সময় অনেক বাংলাদেশি ধরা পড়ছে। কেন তাঁরা বাংলাদেশে পালাচ্ছেন, সেই প্রশ্ন তোলেন মিঠুন। খোঁচা দেন রাজ্যের শাসকদলকে। এসআইআর ঠিকঠাক হলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাক্তন হবেন বলেও শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন তিনি।