Orange Pudding: শীতের লোভনীয় ডেজার্ট, ঝটপট জেনে নিন কমলালেবুর পুডিং এর রেসিপি |
বয়স হল ৭০, জিম ছাড়াই ২৬ কেজি ওজন কমিয়েছেন বনি কাপুর! জেনে নিন সেই 'ম্যাজিক ফর্মুলা'
জিম ছাড়াই ২৬ কেজি ওজন কমিয়েছেন বনি কাপুর
বলিউডের প্রখ্যাত প্রযোজক বনি কাপুরের জন্মদিন আজ অর্থাৎ ১১ নভেম্বর। ৬৯ বছর বয়সে এসে ওজন ঝরিয়ে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ছবিতে তাঁকে একেবারে নতুন রূপে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু আশ্চর্যের কথা এই যে, তিনি জিমে না গিয়েই ২৬ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলেছেন। তার পেছনে রয়েছে স্ট্রিক্ট ডায়েট। রাতের খাবার বাদ, সকালে শুধুই ফল, জুস আর জোয়ার রুটি।
বনি কাপুর, যিনি ১১ নভেম্বর ৭০ বছরে পা দিলেন, ২৫ সেপ্টেম্বর 'জার্নি আনস্ক্রিপ্টেড উইথ চন্দা কোচার' নামের একটি সাক্ষাৎকারে তাঁর ওজন কমানোর রহস্য ফাঁস করেছেন।
বনি কাপুরের 'ম্যাজিক ফর্মুলা'
তাহলে কী সেই 'ম্যাজিক ফর্মুলা'? বনি কাপুর স্পষ্ট জানিয়েছেন, এর মূল চাবিকাঠি হল: ডায়েট, ডায়েট, ডায়েট। অভিনেত্রী শ্রীদেবী-র স্বামী এবং বলিউড তারকা জাহ্নবী কাপুর-এর বাবা বনি কাপুরের এই ফিটনেস জার্নি এই বয়সেও অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা।
ভাইরাল ভায়ানির ইনস্টাগ্রাম পোস্ট বলছে, “বনি কাপুর এখন ইন্টারনেটের নতুন সেনসেশন। ক্যাজুয়াল বা সেমি-ফর্মালে তাঁকে দেখে চেনার উপায় নেই। জিমে না গিয়ে একমাত্র খাওয়া-দাওয়ার নিয়ন্ত্রণ আর স্ট্রিক্ট নিয়ম মেনেই এই ট্রান্সফরমেশন সম্ভব হয়েছে।”
রাতের খাবার তিনি পুরোপুরি বাদ দিয়েছেন। ডিনারের জায়গায় এখন থাকে শুধু হালকা স্যুপ। সকালে ব্রেকফাস্টে ফলের সঙ্গে জোয়ারের রুটি আর এক গ্লাস জুস। এইভাবেই শুরু হয় তাঁর দিন। কোনও চমকপ্রদ ডায়েট নয়, বরং নিয়ন্ত্রিত ও সচেতন খাদ্যাভ্যাসই তাঁর সাফল্যের মূল রহস্য।
বনি কাপুর জানান, এই সিদ্ধান্ত তিনি হঠাৎ করে নেননি। ২০২৪ সাল থেকেই তিনি শরীরের যত্ন নেওয়ার দিকে মনোযোগী হয়েছেন। এবিপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বনি বলেন, তিনি প্রয়াত স্ত্রী শ্রীদেবীকে দেওয়া এক প্রতিশ্রুতি রাখছেন। তাঁর কথায়, “যদি তুমি চুলে কিছু পরিবর্তন আনতে চাও, তার আগে নিজের ওজন কমাও।” এই কথাই যেন তাঁর জীবনের প্রেরণা হয়ে উঠেছে।
বনির মতে, জিমে না গিয়ে ওজন কমানো সম্ভব। কিন্তু সেটা যেন দীর্ঘস্থায়ী ও স্বাস্থ্যকর হয়, তার জন্য সঠিক পদ্ধতি ও নিয়ম মেনে ডায়েট জরুরি। হঠাৎ ডিনার বাদ দেওয়া বা শুধুই ফলমূল খাওয়ায় শরীরের পুষ্টির ঘাটতি হতে পারে। ফল খাওয়া স্বাস্থ্যকর, এতে ফাইবার, ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। কিন্তু শুধু ফল খেয়ে প্রোটিন ও ফ্যাটের ঘাটতি হয়, যা এনার্জি কমিয়ে দেয়, খিদে বাড়ায় এবং মাংসপেশির ক্ষয় ডেকে আনে।
ভারতের অনেক জনপ্রিয় ফল যেমন কলা, আম, আঙুর - এসবেই চিনি অনেক বেশি। ফলে ডায়াবেটিস বা ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স যাঁদের আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে ফল-নির্ভর ব্রেকফাস্টে ব্লাড সুগার বেড়ে যেতে পারে।
কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা প্রশ্ন উঠছে। এই ধরনের ডায়েট কি আদৌ নিরাপদ? তা-ও আবার ভারতের মতো দেশে, যেখানে ডায়েট ও স্বাস্থ্য সমস্যার ধরনটাই আলাদা!