কী খেতে ভালবাসতেন উত্তম?
উত্তমকুমারের জীবনযাপন নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই। তিনি কী খেতেন, কী পরতেন, কী ছিল তাঁর নিত্যদিনের রুটিন? তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলত অনুরাগীদের আড্ডায়। সেই সময় নানা পত্রপত্রিকাতেই উত্তমের লাইফস্টাইল নিয়ে নানা প্রতিবেদন প্রকাশ পেত, যা আপামর বাঙালির প্রায় মুখস্থ করে ফেলেছিল।
উত্তমকুমার বরাবরই ছিলেন খাদ্যরসিক। ইদানীংয়ের সিক্সপ্যাক নায়কদের মতো, তাঁর এত খাবার নিয়ে বায়ানাক্কা ছিল না। তেলেভাজা থেকে শুরু করে মাছ, মাংস, মিষ্টি জমিয়ে খেতেন। তবে হ্য়াঁ, নিজেকে ছিপছিপে রাখতে শরীরচর্চায় কোনও ফাঁক দিতেন না মহানায়ক।
তা কী কী থাকত উত্তমের মেনুতে? কী কী খাবার ছিল মহানায়কের পছন্দের?
জানা যায়, মায়ের হাতের ভেটকি মাছের কাঁটা চচ্চড়ি ছিল উত্তমের পছন্দের তালিকায় ছিল সবার উপরে। প্রতি সপ্তাহের শনি ও রবিবার ময়রাস্ট্রিটের বাড়ি থেকে ভবানীপুরের বাড়িতে যেতেন মায়ের হাতের এই রান্নাটিই খেতে। উত্তমের স্ত্রী গৌরীদেবীও নাকি দারুণ রান্না করতেন। আর সুপ্রিয়া চৌধুরীর হাতের রান্নার কত বড় ফ্যান ছিলেন উত্তম, তা তো সবার জানা।
উত্তমের প্রিয় খাবারের তালিকায় ছিল, অভিনেত্রী কাজুরী গুহর রেসিপি লঙ্কা মুরগি, সুপ্রিয়া চৌধুরীর হাতে বানানো কাজু চিকেন, চিংড়ি মালাইকারি, পাতুরি, মুরগির পাতলা ঝোল, কাতলার ঝাল।
তবে জানা যায়, ১৯৬৭ সালে প্রথম হার্ট অ্য়াটাকের পর মহানায়কের খাবার-দাবারের উপর প্রচুর নিষেধাজ্ঞা চলে আসে। সেই সময় নাকি শুধু মুরগির স্টু ও পাউরুটি খেতেন উত্তম। শুটিং ফ্লোরে আর তা রেঁধে পাঠাতেন সুপ্রিয়া চৌধুরীই।