তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠলেন জয়া
সামাজিক বা রাজনৈতিক অঙ্গনে বর্ষীয়ান সাংসদ জয়া বচ্চনের মেজাজ হারানোর ঘটনা নতুন কিছু নয়। সম্প্রতি দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা সেই দিকটিকে আবারও সামনে এনেছে। সেখানে এক ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে সেলফি তুলতে গেলে জয়া বচ্চন রেগে গিয়ে তাকে ঠেলে সরিয়ে দেন। ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, সাংসদ জয়া বচ্চন একটি ব্যক্তির কাছে কথা বলছিলেন। হঠাৎ ওই ব্যক্তি খুব কাছাকাছি গিয়ে তাঁর সঙ্গে ছবি তোলার চেষ্টা করেন। জয়া বচ্চন রাগ প্রকাশ করে তাকে সরিয়ে দিয়ে প্রশ্ন তোলেন, "এটা কী হচ্ছে?" পরে ওই ব্যক্তি তার আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ মিশা ভারতী ও প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী, যাদের মিশা ভারতী ওই ব্যক্তিকে কিছু বলতে দেখা যায়।
রাজনীতির পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনে স্বচ্ছন্দ থাকা ও সীমা রক্ষা করায় জয়া বচ্চনের এমন আচরণ লক্ষণীয়। এর আগেও বহুবার দেখা গেছে, কেউ তার ব্যক্তিগত পরিসরে প্রবেশ করলে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করেছেন বা তিরস্কার করেছেন। এর একটা উদাহরণ গত এপ্রিল মাসের মনোজ কুমারের প্রার্থনা সভায় দেখা যায়, যেখানে এক বয়স্ক ভক্ত ছবি তোলার অনুরোধ করলে তিনি মেজাজ হারান।
কেন তিনি এমন প্রতিক্রিয়া দেন? ‘হোয়াট দ্য হেল নভ্যা?’ নামের পডকাস্টে নাতনি নভ্যা নভেলি নন্দাকে এক সাক্ষাৎকারে জয়া বচ্চন নিজেই জানান, “যে কেউ আমার ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করলে আমি ঘৃণা করি। আমি এই ধরনের লোকদের প্রতি গভীর বিরক্তি বোধ করি। যারা অন্যের ব্যক্তিগত জীবনে ঢুকে পড়ে এবং সেই বিষয় নিয়ে নিজেদের পেট ভরায়, তাদের আমি ঘৃণা করি।” তিনি আরও বলেন, “আমি সব সময় তাদের বলি, ‘আপনাদের শরম নেই।’”
৭৭ বছর বয়সী এই সাংসদ তাঁর সরল ও স্পষ্ট ভাষার জন্য ট্রোলের শিকার হন। তবে পডকাস্টে তিনি জানিয়েছেন, এসব সমালোচনা তাঁর উপর কোনভাবেই প্রভাব ফেলে না। জয়া বচ্চনের ব্যক্তিত্ব ও সীমাবদ্ধতা রক্ষা করার এ মনোভাব অনেকের জন্য ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।