‘কন্যাসন্তান নয়, বলিউডেও সকলে পুত্রসন্তান চান’, কঙ্গনার মন্তব্যে বিতর্ক |
‘কন্যাসন্তান নয়, বলিউডেও সকলে পুত্রসন্তান চান’, কঙ্গনার মন্তব্যে বিতর্ক
বলিউডেও সকলে পুত্রসন্তান চান’, কঙ্গনার মন্তব্যে বিতর্ক
বদ্ধমূল ধারণাকে সঙ্গী করে আর ঘরের কোণে বদ্ধ নন মহিলারা। সমস্ত বেড়াজাল পেরিয়ে খেলার মাঠ থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে দাপিয়ে বেড়ান তাঁরা। আজকের পৃথিবীতে দাঁড়িয়েও কন্যাসন্তান নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য তারকা সাংসদ কঙ্গনা রানাউত। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর মন্তব্য নিয়ে নানামহলে উঠেছে বিতর্কের ঝড়।
ঠিক কী বলেন কঙ্গনা? তাঁর দাবি, “এশিয়ার প্রতিটি পরিবারের সঙ্গে আপনারা কথা বলে দেখতে পারেন। বিশেষ করে, দ্বিতীয়বার কন্যাসন্তান হলে আরও বিষয়টি বোঝা যায়। হতেই পারে, কোনও পরিবার খুবই উচ্চশিক্ষিত। তাঁরা দেখাতে চান, তাঁদের চোখে ছেলে ও মেয়ে দুইই সমান। কিন্তু আমি বলছি, মেয়ে হওয়ার পরে সকলের মধ্যে এই বিষয়টা নিয়ে চিন্তা হয়। এমনকি অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং বড় পরিবারেও একই ছবি দেখা যায়।” সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমন একথা বলেন তিনি। সমাজের যেকোনও স্তরের মানুষের মধ্যে কন্যাসন্তান নিয়ে ধারণা সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে বেফাঁস কথা বলেন সাংসদ।
কঙ্গনার এই মন্তব্য স্বাভাবিকভাবে সোশাল মিডিয়ায় বিদ্যুতের গতিতে ভাইরাল হয়ে যায়। সকলেই যেন রে রে করে উঠেছেন। একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী, আবার সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে এমন কথা বলতে পারেন তিনি, সে প্রশ্ন তোলেন অনেকেই। কেউ কেউ আবার বলছেন, কঙ্গনা যে মোটেও মননে প্রগতিশীল নয়, তা তাঁর মন্তব্যেই প্রমাণ নয়।
তবে এই প্রথমবার নয়। এর আগেও একাধিকবার বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন কঙ্গনা। কৃষক আন্দোলন নিয়ে X হ্যান্ডেলে আক্রমণাত্মক পোস্ট করার ঘটনায় ক্ষমাও চান। কৃষক বিক্ষোভে শামিল হওয়া এক বৃদ্ধাকে তিনি ‘শাহিনবাগের দাদি’ বিলকিস বানো বলেও ব্যাখ্যা করেন। পাঁচ বছর পর সেই ঘটনার জন্য এবার ভাতিন্দা আদালতে ক্ষমা চান কঙ্গনা। আদালতের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কঙ্গনা বলেন, “ভাতিন্দায় আসার পর আমার খুব ভালো লাগছে। আমার ভক্তরা এখানে ভিড় করেছেন। কৃষক আন্দোলনের সময় একটি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। আমি মাতাজির (বৃদ্ধা) স্বামীকে বিশেষ বার্তা পাঠিয়েছি।” তিনি আরও বলেন, “ওই পোস্টটি একটি রিটুইট ছিল, যেটি সাধারণ মিম হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল। আমি মাহিন্দরের (বৃদ্ধা) স্বামীর সঙ্গে এটি নিয়ে আলোচনাও করেছি। সেই সময় দেশব্যাপী একাধিক প্রতিবাদ হয়েছিল। কেউ একজন ওই মিমের নিচে কমেন্ট করেছিলেন। এর জেরেই বিতর্ক তৈরি হয়। এই ভুল বোঝাবুঝির জন্য আমি দুঃখপ্রকাশ করেছি।” সেই ঘটনার পরেও যেন হুঁশ ফেরেনি মান্ডির বিজেপি সাংসদের। পরিবর্তে একের পর এক বেফাঁস মন্তব্যে বিপাকে পড়ছেন তিনি।