৫২ বছর বয়সে বিয়ে করলেন মহিমা চৌধুরী!
বিয়ের সাজে যেন ফের মায়াবী রূপে ফিরে এলেন নব্বই দশকের সেই পর্দার পরী—মহিমা চৌধুরী। ৫২ বছর বয়সে লাল শাড়িতে সেজে, হাতে মিষ্টির বাক্স নিয়ে পাপারাজ্জিদের দিকে হেসে এগিয়ে গেলেন তিনি। পাশে ছিলেন বরাবরই প্রাণবন্ত, মজার মানুষ—অভিনেতা সঞ্জয় মিশ্র। দু’জনকে একসঙ্গে দেখে মুহূর্তে যেন চমকে উঠল সোশ্যাল মিডিয়া! মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ল জল্পনা—তাহলে কি সত্যিই দ্বিতীয় বিয়ে সারলেন মহিমা?
ভিডিয়োটিতে দেখা যায়, গাঢ় লাল বেনারসিতে সাজানো কনের সাজে মহিমা, আর তার পাশে ৬২ বছরের সঞ্জয় মিশ্র, সাদা পাঞ্জাবি-পায়জামার ওপর লাল জ্যাকেটে একেবারে বর সাজে। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরা ঝলসে উঠতেই হাসতে হাসতে দু’জনে এগিয়ে আসেন। এক ফটোগ্রাফারের মুখে শোনা যায়—“বড় বড়াই হো আপ দোনো কো!” সঙ্গে সঙ্গেই হেসে ওঠেন মহিমা, মিষ্টি হাতে বাড়িয়ে দিয়ে বলেন, “আপনারা বিয়েতে আসতে পারেননি, কিন্তু মিষ্টি খান।” সেই মুহূর্তে উপস্থিত সকলের মুখে হাসি, আর নেটদুনিয়ায় শুরু হলো তুমুল আলোচনা—এটা কি সত্যিই বিয়ে?
কিন্তু না, বাস্তবটা তেমন নয়। এটা কোনও গোপন বিবাহ নয়, বরং এক বুদ্ধিদীপ্ত প্রচারণা কৌশল। পুরো ঘটনাটিই ছিল তাঁদের নতুন ছবির প্রমোশন—‘দুর্লভ প্রসাদের দ্বিতীয় শাদি’-র অংশ। সেই ছবিতেই সঞ্জয় মিশ্রর চরিত্র দুর্লভ প্রসাদ-এর দ্বিতীয় স্ত্রীর ভূমিকায় দেখা যাবে মহিমাকে। অর্থাৎ, যে বিয়ের সাজে তাঁকে দেখা গেল, সেটাই আসলে রিলের বিয়ে—রিয়েল নয়!
মহিমা চৌধুরীর বাস্তব জীবনের কাহিনিও কম নাটকীয় নয়। ২০০৬ সালে তিনি বিয়ে করেছিলেন ব্যবসায়ী ও স্থপতি ববি মুখার্জিকে। তাঁদের এক কন্যা রয়েছে—আরিয়ানা। কিন্তু ২০১৩ সালে ভাঙে সেই সংসার। অন্যদিকে, সঞ্জয় মিশ্রর জীবনের গল্পেও আছে উত্থান-পতনের ছাপ। প্রথম স্ত্রী রোশনি আচরেজার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ২০০৯ সালে তিনি দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন কিরণ মিশ্রকে। তাঁদের দুই কন্যা—পাল ও লামহা। তাই যখন এই দুই শিল্পীকে বিয়ের পোশাকে একসঙ্গে দেখা গেল, স্বাভাবিক ভাবেই কৌতূহল জাগল সকলের মনে—রিল নাকি রিয়েল?
আসলে, সেই কৌতূহলই কাজে লাগিয়েছেন পরিচালক সিদ্ধান্ত রাজ। তাঁর পরিচালনায় নির্মিত হচ্ছে ‘দুর্লভ প্রসাদ কি দ্বিতীয় শাদি’—একটি মিষ্টি রোমান্টিক কমেডি ড্রামা। ছবিতে দেখা যাবে, মধ্যবয়স্ক এক বিধুর দুর্লভ প্রসাদ (সঞ্জয় মিশ্র) আবার নতুন করে বিয়ে করতে চান। গল্পের মঞ্চ উত্তরপ্রদেশের পবিত্র শহর বারাণসী। এই বিয়ের জটিল পথে একদিকে থাকে আবেগ, অন্যদিকে হাস্যরস। মজার ব্যাপার, দুর্লভ প্রসাদের ছেলে—অভিনেতা ব্যোম যাদব—নিজেই বাবার দ্বিতীয় বিয়ের ব্যবস্থা করতে বাধ্য হন, কারণ তাঁর নিজের বিয়ে ঠিক রাখতে হলে প্রথমেই চাই বাবার বিয়ে! সেই মিশ্র রসিক গল্পেই মহিমা চৌধুরী হয়ে উঠেছেন সেই দ্বিতীয় কনে।