বিয়ে ভাঙার পর প্রথম কনসার্ট কি এই শহরেই?
মাত্র চব্বিশ ঘণ্টা আগে রবিবাসরীয় আরাম-দুপুরের নিঃস্তব্ধতা খান খান করে দিয়েছিল একটি ঘোষণা। ভারতীয় ক্রিকেট দলের ভাইস ক্যাপ্টেন স্মৃতি মান্ধানা (Smriti Mandhana) একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিলেন, সুরকার ও গায়ক পলাশ মুচ্ছল (Palash Muchchal) এখন তাঁর জীবনে অতীত। পলাশের সঙ্গে বিয়ে ভেঙে দিয়েছেন তিনি। চব্বিশ ঘণ্টা পর আজ সোমবারই নেটে ফিরেছেন স্মৃতি। ২১ ডিসেম্বর থেকে ভারত-শ্রীলঙ্কা টি-টোয়েন্টি সিরিজ (IND vs Sri T20 Series) শুরু হচ্ছে। তার জন্য অনুশীলনে নেমে পড়েছেন সহ অধিনায়ক। স্মৃতির মতোই মঞ্চে ফিরছেন পলাশও।
শেষ পর্যন্ত যদি কোনও অঘটন না ঘটে। স্মৃতি মান্ধানার সঙ্গে বিয়ে ভাঙার পর পলাশ মুচ্ছলের প্রথম কোনও কনসার্ট হতে পারে কলকাতাতেই। সঙ্গে তাঁর থাকবেন তাঁর বোন ও স্বনামধন্য গায়িকা পলক মুচ্ছল (Palak Muchchal)।
পলাশ ও পলকের সুর ও গান নিয়ে বর্তমান প্রজন্মের অনেকেরই ধারনা রয়েছে। আবার অনেকের নেইও। সেদিক থেকে তাঁদের কেরিয়ারের অন্যতম একটি গানের কথা তুলে আনা যায়। পলাশ মুচ্ছলের সুরে ঢিসকিয়াও (Dishkiyaoon) ছবিতে ‘তু হি হ্যায় আশিকি’ (Tu Hi Hai Aashiqui) গানটি গেয়েছিলেন অরিজিৎ সিং (Palash Muchchal – Arijit Singh)। সেই একই গান পলাশের বোন তথা পলকের সঙ্গে ডুয়েটও গেয়েছিলেন অরিজিৎ। গানের কথাগুলো ছিল এরকম— ‘তু হি হ্যায় আশিকি/ তু হি হ্যায় আওয়ারগি / তু হি হ্যায় জিন্দেগি / তু হি জুদা’ (Tu Hi Hai Aashiqui/Tu Hi Hai Awaargi/ Tu Hi Hai Jindagi/ Tu Hi Judaaa)
কলকাতায় পলাশ ও পলক মুচ্ছলকে নিয়ে আসছে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব কমিটি। তারা একটি বার্ষিক অনুষ্ঠান করেন। এ বার ফোরামের বার্ষিক অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ১৫ ফেব্রুয়ারি, অর্থাৎ ভ্যালেন্টাইনস ডে-র ঠিক পর দিন। জানা গিয়েছে, ভ্যালেন্টাইনস ডে-র দিনই পলাশ ও পলককে নিয়ে অনুষ্ঠান করতে চেয়েছিল ফোরাম। কিন্তু সেদিন নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়াম পাওয়া যায়নি। তাই পর দিন হবে অনুষ্ঠান। পলক ও পলাশ মুচ্ছলের সঙ্গে ফোরামের ওই অনুষ্ঠানে থাকবেন সুখবিন্দর সিং।
সূত্রের খবর, কলকাতায় পলাশ ও পলকের কনসার্টের ব্যাপারে তাঁদের মা অমিতা মুচ্ছলই আয়োজকদের সঙ্গে কথাবার্তা বলছেন। ছেলে ও মেয়ের কেরিয়ারের ব্যাপারে অমিতা খুবই সক্রিয়। স্মৃতি মান্ধানার সঙ্গে পলাশ মুচ্ছলের বিয়ে প্রাথমিক ভাবে ‘পিছিয়ে যাওয়ার’ কথা ঘোষণা হতেই সংবাদমাধ্যমে বারবার বিবৃতি দিতে দেখা যায় অমিতা মুচ্ছলকে। অমিতা তখনই জানিয়েছিলেন, বিয়ে পিছিয়ে যাওয়ায় পলাশ ভেঙে পড়েছেন। সারা রাত ধরে কান্নাকাটি করেছেন। এমনকি অমিতা এও জানিয়েছিলেন, স্মৃতির বাবা শ্রীনিবাস মান্ধানার সঙ্গে পলাশের সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত ভাল। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শ্রীনিবাস হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় পলাশ আরও ভেঙে পড়েছিলেন বলে দাবি করেছিলেন অমিতা।
রবিবার স্মৃতি মান্ধানা বিবৃতি দেওয়ার খানিক পর পলাশও সমাজমাধ্যমে মুখ খোলেন। তাঁর কথায়, স্মৃতির সঙ্গে তাঁর পবিত্র সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্ক নিয়ে যখন নানা গুজব ছড়িয়েছে, তিনি খুবই কষ্ট পেয়েছেন। তাঁর জীবনের কঠিন সময় চলছে। তবে খুব মর্যাদার সঙ্গেই তিনি তা সামলানোর চেষ্টা করবেন। এখন দেখার কলকাতার মঞ্চে দাঁড়িয়ে পলাশ সেই গানটি একবার গেয়ে শোনান কিনা। অরিজিৎ সিং ঠিক যেভাবে দরদ দিয়ে গেয়েছিলেন— তু হি হ্যায় আশিকি.. তু হি হ্যায় আওয়ারগি .. তু হি হ্যায় জিন্দেগি .. তু হি জুদা।