প্রসেনজিতের কথা শুনেই লজ্জায় লাল শ্রাবন্তী
শহরের রাতপার্টিতে কত কী হয়। পেশাদারিত্বের গণ্ডি পেরিয়ে তারকাও মেতে ওঠেন খোশগল্পে। এই যেমন 'ধূমকেতু'র প্রযোজক রানা সরকারের প্রযোজনা সংস্থার পনেরো বছরের পূর্তি অনুষ্ঠান ছিল। সেখানেই হাজির হয়েছিলেন 'দেবী চৌধুরানি'র গোটা টিম। হাজির ছিলেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, ছবিটির পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্র সহ অন্যান্য।
জীবনের প্রথম কাজটি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে করেছিলেন শ্রাবন্তী। ছবির নাম ছিল 'মায়ার বাঁধন'। ১৯৯৭ সালে সেই ছবি মুক্তি পায়। অভিনেত্রী তখন শিশুশিল্পী। ছবিতে প্রসেনজিতের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন শ্রাবন্তী। অন্যদিকে ২০২৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি 'কাবেরী অন্তর্ধান'। ছবিতে শ্রাবন্তী ছিলেন প্রসেনজিতের 'লাভ ইন্টারেস্ট'। ওদিকে আবার এই পুজোয় আসছে 'দেবী চৌধুরানি'। নাম ভূমিকায় রয়েছেন শ্রাবন্তী। ভবানী পাঠকের চরিত্রে দেখা যাচ্ছে প্রসেনজিৎকে। বঙ্কিমের এই কাল্ট উপন্যাসে ভবানী ও দেবী চৌধুরানীর সম্পর্ক ছিল গুরু-শিষ্যের, বাবা-মেয়ের।
সেই কথা মাথায় রেখেই শ্রাবন্তীকে নিয়ে প্রসেনজিৎ বলেন, "ও মেয়ে, গার্লফ্রেন্ড আবার মেয়ে...।" বুম্বাদার কথা শুনে লজ্জায় লাল শ্রাবন্তী। হাসি যেন থামে না। তাঁর এই ছবি মুক্তির কথা ছিল এই অগস্টে। যদিও বেশ কিছু কারণে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়। বেছে নেওয়া হয় পুজো। দেরি কেন? সে প্রশ্ন করতেই শ্রাবন্তীর সাবধানী উত্তর, "যেমনটা বুম্বাদা বলল, বড় ছবিতে সময় লাগে।"
এই পুজোতে বাংলা ছবির দুনিয়ায় দেখা যেতে চলেছে বড় প্রতিযোগিতা। মুক্তি পাচ্ছে, বেশ কিছু ছবি। 'দেবী চৌধুরানি' ছাড়াও রয়েছে দেবের 'রঘুডাকাত'। রয়েছে উইন্ডোজ প্রযোজনা সংস্থার ছবি 'রক্তবীজ ২'। কোন ছবি দর্শকের মন জয় করবে এখন সেটাই দেখার।