অ্যানট্রাম সিনেমার পোস্টার
১৯৭০ সালে তৈরী হওয়া ছবি অ্যানট্রাম। বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র উৎসবে পাঠানো হয়েছিল সেটি। কিন্তু অনেক উদ্যোক্তাই সেটি দেখাতে চাননি। জানা গেছে যারা ছবিটি দেখাতে চাননি তাদের আচমকা মৃত্যু হয়েছিল।পৃথিবীতে এমন কিছু জিনিস আছে যার রহস্য আজও অজানা। আর অজানার প্রতি মানুষের আগ্রহ বহুদিনের। ভয় পেতে ভালবাসে, এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। এই অ্যানট্রাম ছবি নিয়েও এমন অনেক কাহিনী রয়েছে।
শোনা যায় ১৯৮৮ সালে বুদাপেস্টের এক প্রেক্ষাগৃহে যখন ছবিটি দেখানো হচ্ছিল, কিছু সময়েই মধ্যেই প্রেক্ষাগৃহেই আগুন লেগে যায়, আগুনে পুড়ে মারা যান প্রায় ৫৬ জন। অনেকেই মনে করেছিলেন, প্রজেক্টরে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই লাগে আগুন। যদিও প্রমাণ সেভাবে আজও মেলে না। ছবি দেখালেও বিপদ, না দেখালেও সাক্ষাৎ মৃত্যু! ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন সকলেই। বেশ কিছু বছর ধরে এই ছবি নিয়ে যাবতীয় আলোচনাই বন্ধ ছিল। তবে দুর্ঘটনার ৫ বছর পর ক্যালিফোর্নিয়ার একটি প্রেক্ষাগৃহে দেখানো হয় ছবিটি।
এরপর তখন ১৯৯৩ সাল। ওই প্রেক্ষাগৃহও কিন্তু রক্ষা পায়নি অঘটন থেকে দর্শকদের মধ্যেই শুরু হয় ঝামেলা। এই ঝামেলায় পদপিষ্ট হয়ে মারা যান ৩০ জন। আবারও আলোচনায় উঠে আসে এই ছবি। ব্যস, ওই শেষ। এরপর থেকে আর কোনও প্রেক্ষাগৃহে ওই ছবি দেখানো হয়নি। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে ফের নতুন ভাবে ওই ছবির মুক্তি হয়। নতুন টিমের সদস্যদের দাবি ছিল যে ছবিটি তৈরি করা হয়েছিল তাতে বিভিন্ন অদ্ভুত চিহ্ন, শব্দ ও নানা সঙ্কেত ব্যবহার করা হয়েছে।
ওই আওয়াজের নাকি খুলে যায় নরকের দ্বার, যোগাযোগ দৃঢ় হয় রহস্যময় দুনিয়ার সঙ্গে। তবে নতুন ছবির ক্ষেত্রে কিন্তু এই ঘটনা আর ঘটেনি। অনেকেই ছবিটি দেখলেও কোনও অশুভ প্রভাব লক্ষ্য করেনি। তবুও সেই সময়ে ঘটে যাওয়া পর পর ঘটনার নিরিক্ষে আজও বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ানক ও রহস্যময় ছবি হয়েই রয়ে গিয়েছে অ্যানট্রাম।