জনরোষের শিকার হতে পারে বিজয়ের পরিবারও
তামিলনাড়ুতে টিভিকের সভায় অন্তত ৩৯ জনের পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় (Tamil Nadu Stampede) কার্যত বিপাকে পড়েছেন দলের প্রধান অভিনেতা বিজয়। তাঁকে এবং তাঁর দলকে কাঠগড়ায় তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আরও মৃত্যুর সম্ভাবনা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিজয়ের (TVK Leader and Actor Vijay) চেন্নাইয়ের বাড়িতে নিরাপত্তা বাড়ানো হল। সূত্রে খবর, জনরোষের শিকার হতে পারেন বিজয় ও তাঁর পরিবার।
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, রাজ্য পুলিশের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে যাতে টিভিকে-র (Tamizhaga Vetri Kazhagam) প্রত্যেক জেলা সম্পাদকদের নিরাপত্তাও বাড়ানো হোক।
৫১ বছর বয়সী অভিনেতা বিজয়, যাঁর দল টিভিকে আগামী বছর তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে, শনিবারের এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কারণে কড়া চাপের মুখে পড়েছেন।
ডিএমকে নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার সমালোচনা করেছে যে রাজ্যপাল ও পুলিশের অনুমতি ও ভিড় নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত নিয়ম নীতির লঙ্ঘন হয়েছে, যার ফলস্বরূপ এই ঘটনা ঘটেছে। সরকারি সূত্র বলেছে, আয়োজকরা পর্যাপ্ত জল ও খাবারের ব্যবস্থাও করেনি। এর ফলে ভিড়ের মধ্যে কেউ কেউ অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
সূত্রের আরও দাবি, পৌনে একটা থেকে সভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বিজয় প্রায় ৭ ঘণ্টা দেরিতে মঞ্চে যান। এদিকে দুপুর থেকেই মহিলা ও শিশু-সহ অনুরাগীরা সভাস্থলে ভিড় করতে শুরু করেছিলেন।
অভিযোগ, সমর্থকরা পুলিশের নির্দেশ অমান্য করেই বিজয়ের গাড়ি অনুসরণ করে মঞ্চের দিকে এগিয়ে এসেছিলেন। এমনকি বিজয় যখন কথা বলছিলেন সেই সময় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়, কিন্তু তখনও টিভিকে প্রধান তাঁর বক্তৃতা জারি রেখেছিলেন। পাশাপাশি সভাস্থলে অ্যাম্বুলেন্সকেও প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছিল না বলে দাবি সরকারি সূত্রের।
দুর্ঘটনার পর আহতদের সঙ্গে দেখা না করেই প্রাইভেট বিমানে চেন্নাই ফিরে গেছেন বলেও বিজয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
যদিও টিভিকে-র পক্ষে এক আইনজীবী জোর দিয়ে বলেছেন, সবরকম পুলিশি নির্দেশ মেনেই সভা করেছে দল। তিনি বলেন, এই মর্মান্তিক ঘটনায় বিজয়ও মানসিকভাবে বিচলিত এবং তিনি তামিলনাড়ুর মানুষের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেন। সমাবেশের দৃশ্যাবলীতে দেখা গেছে বিজয় ভিড়ের মধ্যে থাকা মানুষদের হাতে জল দেওয়ার চেষ্টা করছেন।