রূপচর্চা করতে গিয়ে এ কী হাল উরফির
হামেশাই খবরের শিরোনামে থাকেন উরফি জাভেদ। মাঝেমধ্যেই খোলামেলা উদ্ভট পোশাক পরে চমকে দেন সকলকে। জনপ্রিয় এই সোশাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারের ফ্যাশন সেন্স নিয়ে প্রশংসা যেমন হয়, নিন্দাও কম হয় না। তবে সাম্প্রতিক একটি ভিডিও ঘিরে শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, উরফির ঠোঁট ফুলে ঢোল! স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, ব্যাপারটা কী?
জানা যাচ্ছে, ঠোঁটে ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরই ক্রমশ ফুলতে শুরু করেছে ঠোঁট। এই ভিডিও দেখে শঙ্কিত নেটিজেনরা। হইচই পড়ে গিয়েছে অনুগামীদের মধ্যে। তবে ‘খোদার উপর খোদকারি’র এমন প্রবণতা নতুন নয়। নায়িকাদের গোল মুখ ও পুরুষ্ট ঠোঁটের কদর বলিউড থেকে টলিউড সব জায়গাতেই দেখা যায়। সেকারণে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে কেউ করছেন বোটক্স, তো কেউ ফিলার্স। উরফির পোস্ট করা ট্রিটমেন্ট ভিডিও থেকে জানা যাচ্ছে, তিনি আগে করানো লিপ ফিলার্স ডিসলভিং করাতে গিয়েছিলেন। আর সেখানেই ঘটে যায় বিপত্তি। আর তাই তাঁর মুখের এই হাল! আপনিও জেনে নিন, এমন কিছু যদি করতেই হয়, সাবধানতা অবলম্বন করবেন কীভাবে।
কী এই লিপ ফিলার্স?
ঠোঁট পুরু করাতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করেন চিকিৎসকেরা। সামান্য ভুল হলেই ঘটতে পারে বড়সড় বিপদ। এটা একধরনের কসমেটিক প্রসেস। এতে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন পড়ে না। ফিলার হিসেবে সিন্থেটিক হায়ালুরনিক অ্যাসিড ঠোঁটে ইঞ্জেক্ট করলেই ফল মিলবে। লিপ ফিলার্স সঠিক ভাবে হলে ঠোঁট বেশ ভরাট ও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। কিন্তু যদি লিপ ফিলার্স করানোর পর রেজাল্ট পছন্দ না হয় কিংবা কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তাহলে তখনই লিপ ফিলার্স ডিসলভিং করানো যেতে পারে। এক্ষেত্রে উরফিও তাই করেছেন। আর এই ট্রিটমেন্ট প্রসেসের মধ্যে দিয়ে যেতে গিয়ে তাঁর ঠোঁট ফুলে ঢোল হয়ে গিয়েছে। মুখেও পড়েছে যন্ত্রণার প্রভাব। থুতনির পেশিও ফুলে যেতে দেখা গিয়েছে।
কী ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি হয়?
ফিলার ডিসলভিং করানোর পর নানারকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যেমন-
(১) ঠোঁট ফুলে যাওয়া ও প্রচণ্ড যন্ত্রণা।
(২) ঠোঁট শক্ত হয়ে যাওয়া ও রক্তক্ষরণ।
(৩) লাল ভাব ও প্রদাহ।
(৪) ঠোঁটে র্যাশ ও চুলকানি।
(৫) স্নায়ুর অসাড়তা।
এই অবস্থা কয়েক দিন থেকে শুরু করে এক সপ্তাহ পর্যন্ত দেখা দিতে পারে। ডিসলভিংয়ের পর দীর্ঘদিন ঠোঁট ফোলা থাকলে, ব্যথা ও জ্বর হলে কিংবা কোনও সংক্রমণ দেখা দিলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।