গুগল ছবি
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আচরণে ক্ষুব্ধ ডোনাল্ড ট্রাম্প। যে ভাবে আলোচনায় জল ঢেলে তিনি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন, তা নিয়ে আগেই বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ বার ‘আত্মরক্ষার জন্য’ ইউক্রেনের হাতে আমেরিকার ‘প্যাট্রিয়ট’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা তুলে দিতে চলেছেন তিনি। তবে তার বিনিময়ে সমরাস্ত্র বাবদ পুরো টাকাই নেবে আমেরিকা। রবিবারই তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন ট্রাম্প।
রবিবার ট্রাম্প সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমরা তাদের (ইউক্রেন) প্যাট্রিয়ট পাঠাব। ওরা মরিয়া হয়ে এটা চাইছিল।” তবে ইউক্রেনকে ঠিক কতগুলি ‘প্যাট্রিয়ট’ আমেরিকা দিচ্ছে, তা স্পষ্ট করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বা পেন্টাগন।
প্যাট্রিয়ট হলো আমেরিকান বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এটি যুদ্ধবিমান, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মতো লক্ষ্যবস্তুকে আকাশেই ধ্বংস করতে পারে। প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ৭০ কিমি। এটি ২৪ কিমি-এর বেশি উচ্চতায় আঘাত করতে পারে। বর্তমানে ইউক্রেনের নিজস্ব আকাশসীমা সুরক্ষার সীমিত ক্ষমতা রয়েছে। রুশ যুদ্ধবিমান আক্রমণ করার সময় তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকিতে থাকে। রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আটকানোর ইউক্রেনীয় ক্ষমতাও কম। ফলে তারা রুশ আক্রমণ পুরোপুরি ঠেকাতে পারে না। ফলে এই ক্ষেপনাস্ত্র হাতে পেলে ইউক্রেনের সামরীক ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে বলেই মন্তব্য আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের।
ইউক্রেন প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম পেলে এই অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে। ইউক্রেনের রুশ যুদ্ধবিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করার ক্ষমতা থাকবে। এতে রাশিয়ার জন্য ঝুঁকি বেড়ে যাবে। এই ঝুঁকি এড়াতে রাশিয়াকে প্রথমে ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করতে হবে। আমেরিকার কাছ থেকে ‘প্যাট্রিয়ট’ পেলে ইউক্রেন ঠিক কী পদক্ষেপ নেয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।