দুর্ঘটাস্থল
বাংলাদেশে বায়ুসেনার বিমান দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বাড়ল। বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সে দেশের সরকারি ঘোষণা অনুযয়ী ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৭। যাদের মধ্যে ২৫ জনই শিশু। অধিকাংশেরই বয়স ১২-র কম। বাকি দুজের মধ্যে এক জন ওই বিমানের চলক এবং মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষক।
বাংলাদেশের জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে এক সাংবাদিক বৈঠক করেন চিকিৎসক মহম্মদ সায়েদুর রহমান। তিনি সেখানে বিস্তারিত জানান। তিনি জানিয়েছেন, ২০ জনের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসীন রয়েছেন ৭৮ জন। সব মিলিয়ে আহতের সংখ্যা অন্তত ১৭০ বলে জানিয়েছেন তিনি। দগ্ধ শিশুদের জন্য প্রার্থনা করার আর্জি জানান তিনি।
এদিকে সোমবার দুপুরে বিমানটি ভেঙে পড়ে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় উদ্ধার কাজ। রাত গড়িয়ে যাওয়ার পরেও উদ্ধারকাজ চলে ওই স্কুলে। ধ্বংসস্তূপের নীচে আর কেউ আটকে আছেন কি না, তারই খোঁজ চলে। সামরিক সরঞ্জাম-সংক্রান্ত মার্কিন ওয়েবসাইট ‘গ্লোবাল সিকিউরিটি ডট কম’-এর তথ্য অনুযায়ী, এফটি-৭ বিজিআই বিমানটি চিনের একটি সংস্থা তৈরি করে। সংস্থার নাম চেংদু এয়ারক্রাফট কর্পোরেশন। এই বিমানটি দুই আসন বিশিষ্ট এবং একক ইঞ্জিন যুক্ত। সাধারণত প্রশিক্ষণের কাজে বিমানটি ব্যবহার করে সেনাবাহিনী। সোমবারও মহড়ার সময় ভেঙে পড়ে সেটি।
এদিকে বাংলাদেশের বিমানদুর্ঘনায় শোক প্রকাশ করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার মৃতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা,বাংলাদেশকে যেকনো রকম সাহায্য করতে প্রস্তুত ভারত।