নোবেল কমিটির ‘ট্রাম্প-কার্ড’
ট্রাম্পের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়ল না। এবার নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন ভেনেজুয়েলার নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো। তিনি ভেনেজুয়েলার আয়রন লেডি হিসেবে পরিচিত। গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়ে লড়াইয়ের জন্য তাঁকে শান্তিতে নোবেল দেওয়া হল।গত বছর ভেনেজুয়েলার নির্বাচনে ব্যাপক ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ ওঠে বর্তমান প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরুদ্ধে। ওই নির্বাচনের পর থেকে অজ্ঞাতবাসে রয়েছেন মারিয়া। তবে তাঁকে টাইম ম্যাগাজিন ২০২৫ সালের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় রেখেছে।
গত কয়েকমাসে নোবেল শান্তি পুরস্কার তাঁর পাওয়া উচিত বলে ট্রাম্প বারবার দাবি করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, ‘আটটি যুদ্ধ’ থামানোর জন্য তাঁরই নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া উচিত। তবে নোবেল কমিটি মারিয়াকে বেছে নেওয়ায় রিপাবলিকানরা খুব বেশি দুঃখিত হবেন না বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, গত কয়েকমাসে মাদুরোর বিরুদ্ধে ড্রাগ পাচার নিয়ে সরব হয়েছেন। এবং দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কও থমকে গিয়েছে। ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় সরকার পরিবর্তন করতে চাইছেন কি না, তা নিয়েও জল্পনা ছড়ায়।
এদিন মারিয়ার নাম ঘোষণা করতে গিয়ে নোবেল কমিটি জানায়, ভেনেজুয়েলার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নিরন্তর কাজ করে গিয়েছেন বছর আটান্নর মারিয়া। একনায়কতন্ত্র থেকে দেশকে শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্রে আনার লড়াই করে গিয়েছেন। নোবেল কমিটি আরও জানায়, অন্ধকারের মধ্যে গণতন্ত্রের আলো জ্বালিয়ে রেখেছেন মারিয়া।
মারিয়ার নোবেল শান্তি পুরস্কার জয় ট্রাম্পের স্বপ্নে জল ঢেলে দিল। গত কয়েকমাসে ট্রাম্প একাধিবার নোবেল শান্তি পুরস্কার নিয়ে নিজের পক্ষে সওয়াল করেছেন। এখনও পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নোবেল শান্তি পুরস্কার জিতেছেন থিয়োডোর রুজভেল্ট, উডরো উইলসন, জিমি কার্টার এবং বারাক ওবামা। পঞ্চম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নোবেল শান্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন ট্রাম্প। আপাতত তা বিশ বাঁও জলে।