গোপালগঞ্জে উত্তেজনা। ছবি - ইন্টারনেট
আবারও উত্তপ্ত বাংলাদেশ। এনসিপির সমাবেশে উত্তেজনার পর থেকেই দফায় দফায় সংঘর্ষ শুরু হয় বাংলাদেশের গোপালগঞ্জে। গুলি ও গ্রেনেড হামলায় মৃত্যু হয় চারজনের। ঘটনায় আটক ১৪ জন। বুধবার রাত থেকেই জারি হয়েছে কার্ফু। বৃহস্পতিবার উত্তেজনা কমে গেলেও থমথমে পরিবেশ গোটা জেলা জুড়ে।
গোপালগঞ্জ পুরসভা পার্কে তাঁদের সমাবেশ ছিল এনসিপির। তাদের অভিযোগ কয়েকশো সশস্ত্র আওয়ামী সমর্থক ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে দিতে তাঁদের সমাবেশস্থলের দিকে এগোনোর চেষ্টা করেন। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা মহম্মদ পিয়ালের নেতৃত্বে উন্মত্ত জনতা মঞ্চ ভাঙচুর করতে শুরু করেন। তাঁরা পুলিশের গাড়িতেও আগুন জ্বালিয়ে দেন বলে অভিযোগ। হামলা হয় জেলাশাসকের বাসভবনেও।
পুলিশ ও সেনা সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। কোনও রকমে এলাকা ছাড়েন এনসিপির নেতা-কর্মীরা। তবে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় চার জনের। অভিযোগ, এঁদের বেশির ভাগের উপরেই গুলি চালান আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সশস্ত্র কর্মী-সমর্থকেরা। শুধু তা-ই নয়, আওয়ামী লীগের সমর্থকদের উপর গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধেও। এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সমর্থকরাই হামলা চালিয়েছে এবং সেই সময় পুলিশ নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে।
এদিকে উত্তেজনার পরিস্থিতি সামাল দিতে কার্ফু জারি করার সঙ্গে সঙ্গে টহলদারি চালাছে সেনা ও বিজিবি বাহিনী। তবে আতঙ্ক, উৎকণ্ঠার রেশ এখনও কাটেনি।