ঘটনাস্থলে পুলিশ
উৎসব চলাকালীন ফের বন্দুকবাজের হামলায় রক্তাক্ত আমেরিকা। মার্কিন সময় অনুযায়ী, সোমবার সকালে লস অ্যাঞ্জেলসের এক ওয়ারহাউস কমপ্লেক্সে এই হামলা চালায় অজ্ঞাতপরিচয় হামলাকারী। আততায়ীর গুলিতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও ৬ জন। মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে।
সামার ফেস্টিভ্যাল উপলক্ষে পার্টি লস অ্যাঞ্জেলসের শহরতলি এলাকায় এক সঙ্গীত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। প্রচুর মানুষের ভিড় জমে সেই অনুষ্ঠানে। রবিবার রাত ১১টা নাগাদ এক বন্দুকধারী ওই অনুষ্ঠানে প্রবেশ করেছে এমন খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় পুলিশ। বিপুল ভিড়কে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে পুলিশ। আটকও করা হয় এক সন্দেহভাজনকে। তবে পরিস্থিতি খারাপ হয় তারও কয়েক ঘণ্টা পর। ১১টার দিকে পুলিশ ওই অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিলেও ১টা নাগাদ সেখানে হামলার খবর আসে।
তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশের বিশাল বাহিনী। ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর পর দেখা যায় সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। আহত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন আরও অনেকে। সকলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় এক মহিলার। আরও ৬ জন আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন। কে বা কারা এই হামলা চালিয়েছে তা এখনও পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত কোনও ব্যক্তি এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। সন্ত্রাসবাদের বিষয়টিও এড়িয়ে যাচ্ছে না পুলিশ। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি খোঁজ চলছে আততায়ীর।
অবশ্য আমেরিকার মাটিতে এহেন হামলার ঘটনা প্রথমবার নয়। এর আগেও দেশটির একাধিক প্রান্তে এহেন হামলার ঘটনা ঘটেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত কোনও ব্যক্তি হাতে বন্দুক নিয়ে ভিড়ের মধ্যে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাচ্ছেন। এরপর নিজেকে শেষ করে দিচ্ছেন। গত জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে লেক্সিংটনের রিচমন্ড রোড ব্যাপটিস্ট চার্চে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। সেই হামলায় মৃত্যু হয় ২ জনের। পাশাপাশি পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় আততায়ীর। সের এই ঘটনায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।