শুভাংশুদের নিয়ে নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরল মহাকাশযান, ক্যালিফোর্নিয়া উপকূলে সফল অবতরণ করল 'ড্রাগন'
ফাইল ছবি
টানা ২০ দিন মহাকাশে কাটিয়ে অবশেষে নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরল শুভাংশুরা। ভারতীয় ঘড়িরতে ঠিক বেলা ৩টে ১ মিনিট। শুভাংশ শুক্লা সহ চার নভশ্চরকে নিয়ে ভাসতে ভাসতে প্রশান্ত মহাসাগরে এলো স্পেস এক্সের মহাকাশযান ড্রাগন।
ভারতীয় হিসেব অনুযায়ী মঙ্গলবার নির্ধারিত সময়েই পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে শুভাংশুদের ক্যাপসুল। এই সময়ে ক্যাপসুলের গতি ছিল ঘণ্টায় ২৮ হাজার কিলোমিটার। ধীরে ধীরে তা কমতে কমতে ২৪ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় নেমে আসে। এর পর একে একে খুলে যায় চারটি প্যারাশ্যুট। ভাসতে ভাসতে প্রশান্ত মহাসাগরে নেমে আসে ‘ড্রাগন’। আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়াগো উপকূলে তখন অবশ্য রাত।
গত ১৪ জুলাই শুভাংশুদের আনডকিং প্রক্রিয়া শুরু হয়। ১৮ দিন আইএসএসে কাটানোর পর সোমবার শুভাংশুদের প্রত্যাবর্তন শুরু হয়। নির্ধারিত সময়ের একটু পরে বিকেল ৪টে ৪৫ মিনিটে (ভারতীয় সময়) মহাকাশকেন্দ্র থেকে বিচ্ছিন্ন হয় শুভাংশুদের মহাকাশযান। শুরু হয় পৃথিবীর দিকে ফিরতি যাত্রা। ২৩ ঘণ্টার দীর্ঘ সেই যাত্রার শেষে ফিরলেন চার নভশ্চর।
প্রশান্ত মহাসাগরে আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল ‘রিকভারি ভেহিকল’। তৈরি ছিল স্পেসএক্সের একটি দল। অবতরণের পরেই তারা শুভাংশুদের ক্যাপসুলের কাছে পৌঁছে যায়। এরপর সেটিকে মহাসাগর থেকে তুলে আনেন স্পেসএক্সের একটি দল। আস্তে আস্তে অনেক প্রক্রিয়ার পর ক্য়াপসুলের হাচ খুলে একে একে বার করে আনা হয় চার নভশ্চরকে। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি এখানেই শেষ নয়। এখন ওই চার নভশ্চরের একাধিক মেডিক্যাল পরীক্ষা হবে। এতোদিন মাধ্যাকর্ষণহীন পরিবেশে কাটানোর পর তারা পৃথিবীর সঙ্গে করটা মানিয়ে নিতে পারে সেবিষয়েও লক্ষ রাখবেন চিকিৎসকরা।
অন্যদিকে সফলভাবে অবতরণ এবং নিরাপদে সুস্থভাবে এই যাত্রা হওয়ায় মঙ্গলবার সকাল থেকেই উচ্ছ্বাস শুরু হয়ে গিয়েছে শুভাংশুর শহর লখনউয়ে! শুভাংশুর বাবা শম্ভুদয়াল শুক্ল ও মা আশা শুক্ল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ছেলের এই সাফল্যে তাঁরা গর্বিত। শুভাংশুকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।