৫০০ ড্রোন নিয়ে ইউক্রেনে হামলা রাশিয়ার!
সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে যোগ দিতে চিনে গিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সোমবার শেষ হয়েছে বৈঠক। তবে এখনও চিনেই রয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। এর মধ্যেই ৫০০ ড্রোন নিয়ে ইউক্রেনে বড়সড় হামলা চালাল রাশিয়া। এর জেরে প্রাণহানি না ঘটলেও আহত হয়েছেন বহু মানুষ। ধ্বংস হয়ে গিয়েছে প্রচুর বাড়িঘর। বুধবার এমনটাই দাবি করেছে কিয়েভ।
ইউক্রেনের সেনার তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার দেশের পশ্চিমাংশের বিভিন্ন এলাকায় ৫০২টি ড্রোন এবং ২৪টি মিসাইল নিয়ে রাতভর হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এর জেরে কোনও মৃত্যুর খবর না পাওয়া গেলেও আহত হয়েছেন বহু মানুষ। ধূলীসাৎ হয়ে গিয়েছে অসংখ্য বাড়িঘর। জানা গিয়েছে, রাজধানী কিয়েভ, লিভিভ-সহ একাধিক জায়গায় সাইরেন রাতভর বেজেছে সাইরেন। আতঙ্কে ঘর ছাড়েন বহু মানুষ। তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকা এই যুদ্ধে এটা অন্যতম বড় একটি হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আদৌ দু’দেশের মধ্যে কি যুদ্ধ থামবে? সেই প্রশ্নটিই এখন জোরাল হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। তারপর থেকে একাধিক উদ্যোগ সত্ত্বেও মুখোমুখি বসে যুদ্ধ থামানো নিয়ে আলোচনা করতে রাজি হননি দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। গত শুক্রবার আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ঘণ্টা তিনেকের আলোচনার পরেও রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে কোনও সমাধান মেলেনি। এই বৈঠকে পুতিন স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যুদ্ধবিরতি করতে হলে দোনেৎস্ক অঞ্চল ছাড়তে হবে ইউক্রেনকে। যা দিতে অস্বীকার করে ইউক্রেন। এরই মাঝে ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দুই রাষ্ট্রপ্রধানকে মুখোমুখি বসিয়ে আলোচনায় উদ্যোগী তিনি। জেলেনস্কিও জানিয়েছিলেন তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত। কিন্তু এই দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় একেবারেই নারাজ পুতিন।