পুজোর আগে পর্যটক টানতে তৈরি ‘পাহাড়ের রানি’ দার্জিলিং!
পুজো মানেই লম্বা ছুটি। কেজো পরিবেশ থেকে রেহাই। আর এই সময় অনেকেরই পায়ের নিচে থাকে সরষে। ভ্রমণ পিপাসু বাঙালির প্রিয় জায়গা অবশ্য দী-পু-দা! এবার পাহাড়প্রেমীদের জন্য সুখবর। দার্জিলিংয়ে এবার থাকছে বিশেষ আকর্ষণ।
বর্ষা-বিষাদ কাটিয়ে পুজোর আগেই স্বমহিমায় ফিরছে দার্জিলিং। ইতিমধ্যেই খুলে দেওয়া হয়েছে পাহাড়ের সমস্ত পর্যটন কেন্দ্র। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস। পর্যটকদের জন্য বিশেষ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে ওই দিন। জিটিএ-র পর্যটন বিভাগ এবং লামা হাট্টা হোম স্টে অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে একেবারে জাঁকজমক উদযাপন হতে চলেছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে হ্রদ উৎসব। মূলত লামহাট্টায় হ্রদকে কেন্দ্র করেই হবে এ উৎসব। থাকবে বোটিংয়ের ব্যবস্থা। এছাড়াও বিভিন্ন সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের স্বাদ সেখানে নিতে পারবেন পর্যটকরা। যদি ওই সময় আপনার যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে নিশ্চিত ভাবেই বেড়ানোর মজায় যুক্ত হবে নতুন অভিজ্ঞতা
জিটিএ-র পর্যটন বিভাগের যুগ্ম সচিব দাওয়া শেরপা জানিয়েছেন, “এই বছর আমরা পর্যটকদের জন্য বিশ্ব পর্যটন দিবসের দিনে লামা হাট্টায় হ্রদ উৎসবের আয়োজন করেছি। এছাড়াও দার্জিলিং পাহাড়কে আবর্জনামুক্ত পাহাড় হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।”সেই কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। সরকারি আধিকারিকের কথায়, ”বর্তমানে পাহাড়ে আবর্জনা সংগ্রহের কর্মসূচি চলছে। দিনে ১০ কিলোমিটার ট্রায়াল রানও চলবে। লামাহাটাকে এই বছর ‘ক্লিন ভিলেজ’-এর মর্যাদা দেওয়া হবে।”
অন্যদিকে জিটিএ কর্তারা জানান, ”লামাহাটা দার্জিলিং পাহাড়ের সেরা পর্যটন কেন্দ্র। ২০১৪ সালে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এটিকে পর্যটকদের জন্য একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে তৈরি এই পর্যটন কেন্দ্রটি লেপচা জগৎ এবং লামাহাটার অর্থনৈতিক ভিত্তিকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।”