ডায়াবেটিসে পাকা আম
সাধারণভাবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ফল খাওয়া নিয়ে অনেক সংশয় থাকে, বিশেষত মিষ্টি ফল যেমন আম। কারণ আমে প্রাকৃতিক চিনি (ফ্রুকটোজ) থাকায় অনেকেই মনে করেন এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে বাস্তবতা হল—পরিমিত ও সঠিক পদ্ধতিতে খেলে আম ডায়াবেটিস রোগীর জন্য উপকারীও হতে পারে। আয়ুর্বেদ ও আধুনিক পুষ্টিবিজ্ঞানের মতে, পাকা আমের কিছু নির্দিষ্ট গুণাগুণ রয়েছে যা সুগার রোগীদের শরীরের নানা দিক থেকে সাহায্য করে।
১. হজমে সহায়ক ও শর্করার শোষণ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক আমে থাকে প্রাকৃতিক ফাইবার, যা অন্ত্রের গতি বাড়ায় ও হজম শক্তি বাড়ায়। ফাইবার শর্করার শোষণ ধীরে করে, ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে যায় না।
২. অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আমে থাকা বেটা-ক্যারোটিন, ভিটামিন C ও ফাইটোকেমিক্যালস শরীরের কোষ রক্ষা করে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জটিলতা কমাতে পারে।
৩. হৃদযন্ত্র ও চোখের জন্য ভালো ডায়াবেটিস রোগীদের হৃদযন্ত্র ও চোখ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমে থাকা ভিটামিন A, C ও E এই অঙ্গগুলোর সুরক্ষায় কার্যকর।
ডায়াবেটিস রোগীদের প্রত্যহ খাবারের সঙ্গে ৫০ থেকে ৭৫ গ্রাম পাকা আম খাওয়া নিরাপদ। তবে যাদের সুগার মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত বা ইনসুলিনের উপর নির্ভরশীল, তাদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আম খাওয়া উচিত। পাকা আম খাওয়ার সময় অন্যান্য কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার যেমন ভাত, রুটি ইত্যাদি কম খান।