ভূত চতুর্দশীতে কেন খাবেন ১৪ শাক
কালীপুজোর আগের দিন ভূত চতুর্দশীতে অনেক বাড়িতেই ১৪ শাক খাওয়ার চল আছে। মা-ঠাকুমারা এই দিন বাড়িতে ১৪ শাক তৈরি করবেনই। আসলে এর নেপথ্যে বিশেষ এক কারণ। শাস্ত্রে লেখা নিয়ম মেনেই বহু যুগ চলে আসছে ১৪ শাক খাওয়ার এই নিয়ম।
শাস্ত্রে রয়েছে, কার্তিক মাসের এই তিথিতে শ্রীকৃষ্ণ বধ করেছিলেন নরকাসুরকে। বিশ্বাসে রয়েছে, এই তিথিতে নরকাসুর রাজা প্রতিবছর অসংখ্য ভূত-প্রেত নিয়ে মর্ত্যে নেমে আসেন, মাকালীর পুজো দিতে। সেই ভূত-প্রেত থেকে দূর থাকতেই, ১৪ প্রদীপ জ্বালানো এবং ১৪ শাক খাওয়ার রীতি রয়েছে।
তবে শাস্ত্রে রয়েছে আরও একটি কারণও, এদিন স্বর্গ ও নরকের দরজা খুলে যায়। ইহলোক থেকে আত্মারা নেমে আসেন মর্ত্যে। তাই এই দিন পূর্ব পুরুষদের আত্মাকে মুক্তি দেওয়ার জন্যই ১৪ শাক খাওয়া এবং ১৪ প্রদীপ জ্বালানোর নিয়ম তৈরি করা হয়েছে।
তবে এই ১৪ শাক খাওয়ার নেপথ্যে এক বিজ্ঞানসম্মত কারণও জানা যায়। অনেকে মনে করেন, ঋতু পরিবর্তনের সময় শরীরকে রোগ বালাইয়ের হাত থেকে রক্ষা করে এই ১৪ শাক।
কী কী শাক থাকে এই ১৪ শাকে?
ভূত চতুদর্শীর দিন ১৪ শাকের মধ্যে খেতে পারেন পলতা, সরষে, নিম পাতা, শুশনি শাক, জয়ন্তী শাক, ওল শাক, ভাটপাতা, কেঁউ শাক, বেতো শাক, পলতা শাক, গুলঞ্চ শাক, শাঞ্চে শাক, সৌলফ শাক।