তেল ছাড়াই ঘরে বানানো দোসা হবে মুচমুচে
দৈনন্দিন জীবনে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস আজ আর বিলাসিতা নয়, প্রয়োজন। ব্যস্ত সকালে মুখরোচক কিছুর তাগিদ থাকলেও অনেকেই চায় পুষ্টিকর কিছু খেতে। সেই চাহিদা থেকেই ঘরে তেল ছাড়া মুচমুচে, ক্রিসপি দোসা (Crispy Dosa Recipe) বানানোর সহজ একটি পদ্ধতি জনপ্রিয় হতে শুরু করেছে। হালকা, পুষ্টিকর ও দ্রুত তৈরি করা যায়- তাই দোসা (South Indian Food Dosa) অনেকেই পছন্দ করেন। সেই রেসিপিই যদি তেল ছাড়া বানানো যায় (Oil-free Dosa), তাহলে সেটি সুস্বাদুর পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর হয়।

ব্রেকফাস্ট কেন গুরুত্বপূর্ণ?
সকালের খাওয়ার (Breakfast) দিনের প্রথম ও সবচেয়ে জরুরি আহার। এটি শরীরকে কাজ চালানোর শক্তি দেয়, মেটাবলিজম সচল রাখে এবং দিনের লেখাপড়ায় বা কাজে মনোযোগ বাড়ায়। যারা ওজন কমাতে চান, তাদের জন্যও সকালে পর্যাপ্ত খাবার খুবই প্রয়োজন। ব্রেকফাস্ট ঠিকভাবে করলে সারাদিন থেকে থেকে খিদে পাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল থাকে। তাই সকালের খাবারে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট- এসবের ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি।
তেল ছাড়া দোসা- কেন স্বাস্থ্যকর?
পরিবর্তিত রেসিপি ও সঠিক কৌশল মেনে তেল ছাড়া দোসাতে ক্যালোরি কম থাকে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। মূলত চাল ও ডাল মিশিয়ে তৈরি হওয়া দোসা- সহজেই হজম হয় এবং পুষ্টিগুণ বাড়ায়। তেলের বদলে নন-স্টিক তাওয়ায় সঠিক তাপমাত্রা বজায় রেখে রান্না করলে দোসা মুচমুচে তৈরি করা যায়। আলুর পুর বাদ দিলে ক্যালোরি আরও কমে যায় এবং যারা কোলেস্টেরল বা হৃদরোগের চিন্তায় থাকেন, তাঁরাও নিশ্চিন্তে খেতে পারেন।

নিখুঁত মুচমুচে তেলবিহীন দোসা তৈরির পদ্ধতি-
ব্যাটার প্রস্তুতি: চাল-ডাল ভালো করে ভিজিয়ে রেখে কিছুক্ষণ রেখে দিলে ব্যাকটেরিয়াল ফার্মেন্টেশনের কারণে হজম সহজ হয়।
ব্যাটারের ঘনত্ব ঠিক রাখুন: ব্যাটার ঠিক ততটাই পাতলা করুন, যাতে তাওয়ায় পাতলা করে ছড়িয়ে দিতে পারবেন।
তাওয়া ও তাপ: নন-স্টিক তাওয়াকে ভালো করে গরম করুন। মাঝারি আঁচে দোসা সেঁকলে মুচমুচে হয়। তাওয়া গরম হয়ে গেলে হালকা ভেজা কাপড়ে মুছে নিলেই সেটি দোসা (Oil-free Dosa) বানানোর জন্য প্রস্তুত হয়।
তেলছাড়া রান্না: অনেক সময় তাওয়া গরম করে সামান্য জল ছিটিয়ে তাপ নিয়ন্ত্রণ করলে তেল ছাড়াই দোসা এপিঠ ওপিঠ করা যায়। কখনও প্রয়োজন হলে খুব সামান্য স্প্রে-ও ব্যবহার করা যায়।
সেঁকার কৌশল: ব্যাটার মসৃণ হতে হবে, যেন কোনও দানা না থাকে। মাঝারি আঁচে ধীরে ধীরে সেঁকে নিলে মুচমুচে হয়। বেকিং সোডা ব্যবহার না করেও সঠিক ব্যাটার ও আঁচে দোসা মুচমুচে হয়।
বিকল্প উপকরণ: চালের বদলে মুগডাল, ওটস বা কিনোয়া মিশিয়ে দোসা আরও পুষ্টিকর করা যায়। ডালের পরিমাণ বাড়ালে প্রোটিনও বাড়ে।
বহু বছর ধরে চাল ও ডাল দিয়ে দোসা (Oil-free Dosa) তৈরি হলেও চাইলে মুগ, ওটস, কিনোয়া বা পাঁচ-ডালের মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন। পুষ্টির মান বাড়াতে পনির, কুচানো সবজি, স্প্রাউট বা পালং শাক মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে প্রোটিন ও ফাইবার বাড়ে। মুগ ডাল চিল্লা, ওটস ইডলি- এসবও সকালের খাবারে স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পারে।