লাল সতর্কতা জারি তিস্তায়, রাস্তায় বইছে নদীর জল! ভূমিধসে অবরুদ্ধ সেবক |
পুজোয় সারাদিন ধরে প্যান্ডেল হপিং-এর প্ল্যান? এনার্জি বাড়াতে আজ থেকেই ডায়েটে রাখুন এই খাবার
পুজোয় সারাদিন ধরে প্যান্ডেল হপিং-এর প্ল্যান
আমাদের শরীরের দৈনন্দিন কাজকর্ম চালাতে শক্তি বা এনার্জির প্রয়োজন। সঠিক খাবার নির্বাচন না করলে ক্লান্তি, অবসাদ এবং মনোযোগের অভাব দেখা দেয়। সুপারফুড এমন কিছু প্রাকৃতিক খাবার, যেগুলো ভিটামিন, খনিজ, প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবারে সমৃদ্ধ হয়ে শরীরকে বাড়তি শক্তি জোগায় এবং সারাদিন চাঙ্গা থাকতে সাহায্য করে। রইল তেমন ৭ সুপারফুডের খোঁজ।
১। ওটস – ওটস জটিল কার্বোহাইড্রেটের চমৎকার উৎস, যা ধীরে ধীরে শক্তি সরবরাহ করে। এতে ফাইবার বেশি থাকায় রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ ওঠানামা করে না। জলখাবারে দুধ বা দইয়ের সঙ্গে ওটস খেলে দীর্ঘসময় পেট ভরা থাকে এবং সারাদিনে ক্লান্তি দূর হয়।
২। কলা – প্রাকৃতিক এনার্জি বুস্টার হিসেবে কলা খুবই জনপ্রিয়। এতে গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ ও সুক্রোজের মতো প্রাকৃতিক শর্করা থাকে, যা শরীরে তাত্ক্ষণিক শক্তি জোগায়। পাশাপাশি কলায় রয়েছে পটাশিয়াম ও ভিটামিন বি৬, যা পেশির খিঁচুনি প্রতিরোধ করে ও স্নায়ুর কার্যক্ষমতা বাড়ায়। ব্যায়ামের আগে বা পরে একটি কলা খেলে এনার্জি ফরে পাওয়া যায়।
৩। বাদাম বা আখরোট – বাদাম ও আখরোট হলো স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিন ও ভিটামিন ই-এর উৎকৃষ্ট উৎস। এগুলো শরীরে দীর্ঘমেয়াদি শক্তি সরবরাহ করে এবং মস্তিষ্ককেও চাঙ্গা রাখে। বিশেষত যারা দীর্ঘক্ষণ পড়াশোনা বা মানসিক কাজে ব্যস্ত থাকেন, তাদের জন্য বাদাম অত্যন্ত উপকারী। প্রতিদিন এক মুঠো বাদাম বা আখরোট খেলে শরীর সতেজ থাকে।
৪। ডিম – ডিম হলো উচ্চমানের প্রোটিন, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিন বি১২ ও আয়রনের উৎস। এসব উপাদান রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে এবং অক্সিজেন পরিবহন প্রক্রিয়া উন্নত করে। ফলে শরীরে ক্লান্তি কমে যায়। সকালের নাস্তায় একটি সিদ্ধ ডিম বা অমলেট খেলে সারাদিন শক্তি ধরে রাখা যায়।
৫। পালং শাক – পালং শাকে আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে থাকে। আয়রন শরীরে অক্সিজেন পরিবহন করে শক্তি উৎপাদন বাড়ায়। ম্যাগনেশিয়াম পেশি ও স্নায়ুকে সক্রিয় রাখে। নিয়মিত পালং শাক খেলে শুধু শক্তি বাড়ে না, বরং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
৬। কিনোয়া – কিনোয়া একটি ‘সুপার গ্রেইন’, যাতে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন বি এবং আয়রন ভরপুর। এটি শরীরে ধীরে ধীরে গ্লুকোজ ছাড়ে, ফলে দীর্ঘসময় এনার্জি মেলে। যারা ভাত বা রুটির বিকল্প চান, তাদের জন্য কিনোয়া আদর্শ খাদ্য।
৭। ডার্ক চকলেট – ডার্ক চকলেটে ক্যাফেইন ও থিওব্রোমাইন নামক যৌগ থাকে, যা শরীরকে তাত্ক্ষণিক শক্তি দেয় এবং মুড ভালো করে। পাশাপাশি এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় রক্তসঞ্চালন উন্নত হয়। তবে এটি অল্প পরিমাণে খাওয়াই শ্রেয়।