স্বাদে মিলবে নতুন 'টুইস্ট'
দীপাবলি কেটেছে অনেকদিন হয়ে গেল। কিন্তু এখনও তার মিষ্টি পড়ে রয়েছে আপনার ফ্রিজে! এতো যেন প্রতি বছরের কাহিনি। দীপাবলির পর ফ্রিজ খুললেই দেখা যায় উৎসবের অবশিষ্ট, বাক্সে ভরা বরফি, লাড্ডু, শনপাপড়ি। এত মিষ্টি খেয়ে শেষ করা প্রায় অসম্ভব! এরইমধ্যে একটি নতুন ট্রেন্ড ছেয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, সেটি হল ‘ড্রিঙ্ক ইয়োর মিঠাই’, অর্থাৎ মিষ্টি খাওয়ার বদলে পান করুন (Indian sweets drinks)। বাড়িতেই বেচে যাওয়া মিষ্টি দিয়ে বানিয়ে ফেলুন ককটেল। প্রতিটি চুমুকে উপভোগ করুন সেই একই স্বাদ।
ভারতের বড় বড় শহরের বার ও রেস্তোরাঁয় এখন চলছে ট্রেন্ডের এক নতুন ঢেউ ‘মিঠাই মিক্সোলজি’। গুলাব জামুন ওল্ড ফ্যাশনডেস (Gulab Jamun Old Fashioneds), কুলফি নেগ্রোনিস (Kulfi Negronis), কিংবা মিষ্টি দইয়ের স্বাদে তৈরি ককটেল- এসব পানীয় শুধু মিষ্টি নয় (Indian sweets drinks), বরং নস্টালজিয়া আর সৃজনশীলতার এক দারুণ মিশ্রণ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতীয় মিষ্টির গন্ধ আর স্বাদ ককটেলের জন্য একদম পারফেক্ট (easy cocktail recipes)। গুলাব জামুনের গোলাপ সিরাপ, ক্ষীরের কেশর-এলাচ বা নারকেলের নরম মিষ্টি স্বাদ- এসব দিয়েই তৈরি হচ্ছে নতুন ধরনের ককটেল। কেউ ব্যবহার করছেন রোস-ইনফিউজড জিন, কেউ কেশর মেশানো হুইস্কি বা গুড় মেশানো রাম- যাতে মিষ্টির স্বাদও থাকবে আবার পানীয়ও শরীরের জন্য বেশি ভারী না হয়।
তবে এক্ষেত্রে সতর্কতাও দরকার। মিষ্টির মাত্রা বেশি হলেই ককটেল (Indian fusion drinks) হয়ে যায় ‘লিকুইড ডেজার্ট’। তাই সেই পানীয়তে মিষ্টি স্বাদের ছোঁয়া রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ, যেখানে থাকবে না সম্পূর্ণ অনুকরণ। বিভিন্ন রেস্তরাঁর শেফরা বলছেন, "টক, তেতো বা নোনতা স্বাদ যোগ করলে ককটেলে ভারসাম্য থাকে। অনেক সময় ঘি-ও ভারতীয় ছোঁয়া দেয়, এতে চিনির মাত্রাও বাড়ানোর প্রয়োজন পড়ে না।"
বিশেষজ্ঞদের একাংশের কথায়, 'মিঠাই ককটেল' সবচেয়ে ভালো লাগে ডিনারের পর। আড্ডা দেওয়ার সময় হাতে একটা করে গ্লাস থাকলে মন্দ লাগবে না। দিনে হালকা রোস বা ম্যাংগো স্প্রিটজ, আর রাতে কেশর কুলফি নেগ্রোনিস হতে পারে দারুণ বিকল্প।