বৃষ্টিমাখা দুপুরে মন ভরাবে ইলিশ-খিচুড়ি
বৃষ্টি ভেজা রোববার, চারদিক ভিজে স্নিগ্ধ। আর ঘরের ভেতরে যদি পাত সাজানো থাকে ধোঁয়া ওঠা খিচুড়ি আর তার সঙ্গে রুপোলি ইলিশে, তাহলেই বোধহয় পূর্ণতা পায় বাঙালির রাজকীয় ছুটির দিন। ভেজ খাওয়ার একঘেয়েমি কাটিয়ে, সামনে পুজোর কেনাকাটার ব্যস্ততার ফাঁকেও একটু সময় বের করে বানানো যায় চটজলদি ইলিশ-খিচুড়ি। একবার মুখে দিলেই বুঝবেন কেন এই পদ বাঙালির মনে বর্ষার আবহে একটা আলাদা জায়গা করে নিতে পারে।
যারা বৃষ্টিতে খিচুড়িও খেতে চান আবাহর ভেজ নৈব নৈব চ, বা পুজোর শপিংয়ে বেরবেন, চটজলদি কিছু একটা বানিয়ে নিতে চান, তাঁদের জন্য দ্য ওয়ালের তরফে রইল এই রেসিপি।
ইলিশ-খিচুড়ি
বানাতে লাগবে -
- বাসমতি বা গোবিন্দভোগ চাল – ২ কাপ
- মুগ ডাল – ১ কাপ
- ইলিশ মাছ – ৪/৫ টুকরো
- সরষের তেল – ½ কাপ
- আদা বাটা – ২ চা চামচ
- কাঁচা লঙ্কা ফালি – ৪/৫ টি
- হলুদ গুঁড়ো – ১ চা চামচ
- গরম মশলার গুঁড়ো – ১ চা চামচ
- তেজপাতা – ২ টি
- দারুচিনি, লবঙ্গ, এলাচ – সামান্য
- লবণ – স্বাদমতো
কীভাবে বানাবেন?
১. প্রথমে মুগ ডাল ভাল করে শুকনো কড়াইতে ভেজে নিন, যতক্ষণ না সোনালি রঙ আসে। এরপর চাল ধুয়ে রেখে দিন।
২. ইলিশ মাছের টুকরোগুলোতে নুন-হলুদ মেখে সরষের তেলে হালকা ভেজে নিন।
৩. অন্য কড়াইতে সরষের তেল গরম করে তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গ ফোড়ন দিন। দিয়ে দিন আদা বাটা ও কাঁচা লঙ্কা।
৪. এবার চাল-ডাল একসঙ্গে কড়াইতে দিয়ে মশলার সঙ্গে মেখে নিন। প্রয়োজনমতো জল দিন (চাল-ডালের পরিমাণের দ্বিগুণের কিছু বেশি)।
৫. নুন-হলুদ দিয়ে রান্না হতে দিন। মাঝপথে ভাজা ইলিশ মাছের টুকরো আলতো করে দিয়ে দিন।
৬. খিচুড়ি ঘন হয়ে এলে ওপরে গরম মশলার গুঁড়ো ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।
গরম ধোঁয়া ওঠা ইলিশ-খিচুড়ির সঙ্গে চাইলে রাখতে পারেন বেগুন ভাজা, ইলিশের তেল বা কাঁচা লঙ্কা আর এক চামচ ঘি।