লাল সতর্কতা জারি তিস্তায়, রাস্তায় বইছে নদীর জল! ভূমিধসে অবরুদ্ধ সেবক |
স্কুবা করতে গিয়ে প্রয়াত জুবিন গর্গ, সমুদ্রে বেড়াতে গিয়ে স্কুবা ডাইভিংয়ের আগে কী জানতেই হবে
স্কুবা করতে গিয়ে প্রয়াত জুবিন গর্গ
ভ্রমণের শখে আজকাল অনেকেই পাহাড় থেকে সমুদ্র কমবেশি সব জায়গাই এক্সপ্লোর করতে চান। পুজোর ছুটি হোক বা ছুটির দিনে সাগরপাড়ে বেড়ানো, সাহসী ভ্রমণকারীদের কাছে স্কুবা ডাইভিং আজকাল যেন এক অনন্য অভিজ্ঞতা। তবে যে সকল ব্যক্তিরা একেবারেই প্রথম বার জলে নামতে যাচ্ছেন, অর্থাৎ স্কুবা ডাইভিং (Scuba Diving) করার প্ল্যান করছেন তাদের জন্য কিছু প্রস্তুতি ও সতর্কতা রাখা জরুরি। নইলে আনন্দের মুহূর্তে বিপদ ডেকে আনা সহজ। আজ, ১৯ সেপ্টেম্বর স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়েই প্রাণ হারিয়েছেন বিখ্যাত গায়ক জুবিন গর্গ। আপনি যদি স্কুবা ডাইভিংয়ের সময় বিপদ এড়াতে চান, তা হলে কয়েকটি জিনিস অতি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।
প্রথম বার স্কুবা ডাইভিংয়ে কী কী খেয়াল রাখবেন?
- স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন আগে – যে সকল ব্যক্তিদের অ্যাজমা, হার্ট বা শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা আছে, তারা স্কুবা ডাইভিং করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
- সঠিক ট্রেনিং নিন – প্রত্যেকটি ডাইভিং সেন্টারে প্রি-ডাইভ সেশন হয়। যন্ত্রপাতি ব্যবহার, হাতের সিগন্যাল, শ্বাস নেওয়ার কৌশল ভাল করে শিখে নিতে হবে।
- অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের সঙ্গে নামতে হবে – প্রথম বার কখনও একা ডাইভ করা উচিত নয়। ট্রেনার বা ইন্সট্রাক্টরের নির্দেশ মেনে চলা জরুরি।
- সঠিক সরঞ্জাম ব্যবহার করুন – মাস্ক, ফিন, অক্সিজেন ট্যাঙ্ক, সবকিছু ঠিকঠাক করে পরে নেওয়া হয়েছে কি না, তা ডাইভ শুরু করার আগে পরীক্ষা করে নিতে হবে।
- জলের ভয় কাটাতে হবে – নতুনরা অনেক সময় জলে নেমেই অস্থির হয়ে যান। তার জায়গায় শান্ত থাকতে হবে। স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে হবে।
- নির্দিষ্ট গভীরতায় থাকুন – প্রশিক্ষক যে স্তর অবধি যেতে বলবেন, তার বেশি গভীরে নামার চেষ্টা করা ঠিক হবে না।
- হাতের সিগন্যাল মুখস্থ করতে হবে – জলের নিচে কথা বলা সম্ভব নয়, তাই সংকেত দিয়ে যোগাযোগ কীভাবে করা যায়, সেটা শেখা জরুরি।
- অ্যালকোহল ও ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন – ডাইভের আগে কখনও মদ্যপান বা তেল-ঝাল খাবার খাবেন না, এর ফলে শরীরে সমস্যা হতে পারে।
- পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীল হোন – সামুদ্রিক প্রাণী বা কোরাল রিফ স্পর্শ করার চেষ্টা করবেন না।
প্রথম বার স্কুবা ডাইভিং মানেই উত্তেজনার পাশাপাশি বেশ খানিকটা নার্ভাসনেস। সঠিক প্রস্তুতি আর অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের সহায়তা পেলে এই অভিজ্ঞতা হয়ে উঠতে পারে জীবনের অন্যতম সেরা অ্যাডভেঞ্চার। তাই ভয় পাওয়ার জায়গায় কৌতূহল নিয়ে ডুব দিন সমুদ্রে, আর চোখ মেলে দেখুন এক মোহময় ও অজানা জগৎকে।