চায়ের সিরাম
চুল ভালো রাখতে কত রকমের চিকিৎসা করাতে হয় আজকাল। কিন্তু আমাদের প্রত্যেকের বাড়িতে থাকা দুটি উপাদান দিয়ে সপ্তাহে মাত্র এক দিন চুলের যত্ন নিলে খরচের ধাক্কা থেকেও যেমন কিছুটা রেহাই পাওয়া যাবে, তেমনি ঘরোয়া উপকরণ ব্যবহারের ফলেও চুলের স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে।
স্পা থেকে কেরাটিন ট্রিটেমন্ট, এমন অনেক কিছুই রয়েছে। কিন্তু কথায় কথায় সালোঁয় যাওয়া সকলের পক্ষে সম্ভব হয় না। তার বদলে অনেকেই ভরসা রাখেন ঘরোয়া পন্থায়। চুলের জন্য গ্রিন টি বা চায়ের লিকার ব্যবহারের চল দীর্ঘ দিনের। কফিও ঠিক তেমনই উপকারী। প্রথমেই আসা যাক চা - এর গুনাগুন নিয়ে আলোচনায়,
গ্রিন টি হোক বা কালো চা— যে কোনও চা-ই অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান থাকে এতে। চায়ে রয়েছে অ্যান্টিসেপ্টিক এবং অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান। চা চুলের স্বাস্থ্য ফেরাতে এবং মাথার ত্বকের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। কেশের বাড়বৃদ্ধিতে তা কার্যকর। শুধু তাই নয় গ্রিন টি-তে থাকে বি ভিটামিন, পেন্থানল (বি৫)। পেন্থানল চুল মজবুত এবং আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে।
অন্যদিকে ক্যাফিন চুলের ফলিকলকে উদ্দীপিত করে, যার ফলে চুল দ্রুত বেড়ে ওঠে। মাথার ত্বকে ধুলো, ময়লা, অতিরিক্ত সিবাম জমে গেলে চুলের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়ে পারে। নোংরা মাথার ত্বক থেকে সংক্রমণের আশঙ্কাও রয়ে যায়। কফির জল মাথার ত্বক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। চুলে জেল্লা আনে। এতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েডস-এর মতো উপাদান চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতেই নয়, চুলের বৃদ্ধিতেও সহায়ক।
নিয়মিত নয়, সপ্তাহে এক বার এই উপকরন ব্যবহারই যথেষ্ট। ২ কাপ জলে চা-পাতা ভিজিয়ে রাখুন। সেই জল ছেঁকে বোতলে ভরে দিন। শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন। তারপর চা স্প্রে করুন। ঘণ্টাখানেক সেটি মাথায় রেখে জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। পাশাপাশি গরম জলে কফি গুলে ঠান্ডা হতে দিন। স্প্রে বোতলে ভরে শ্যাম্পু করার পর ভিজে চুলে ব্যবহার করুন। ঘণ্টাখানেক রেখে চুল ধুয়ে নিন।